Baby Elephant

উদ্ধারে ‘বাধা’, ট্রেনের ধাক্কায় আহত হস্তিশাবকের মৃত্যু

মঙ্গলবার রাতে গড়বেতা ও চন্দ্রকোনা রোড স্টেশনের মাঝে বাগডোবা মৌজায় সাতবিঁধা গ্রামের কাছে খালপাড়ে মালগাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় বছর আড়াইয়ের ওই হস্তিশাবক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ০১:২৭
Share:

মৃত হস্তিশাবক। আমলাগোড়া রেঞ্জের পাতরিশোলে। নিজস্ব চিত্র

মালগাড়ির ধাক্কায় জখম হস্তিশাবকের মৃত্যু হল।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে গড়বেতা ও চন্দ্রকোনা রোড স্টেশনের মাঝে বাগডোবা মৌজায় সাতবিঁধা গ্রামের কাছে খালপাড়ে মালগাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় বছর আড়াইয়ের ওই হস্তিশাবক। রক্তাক্ত অবস্থায় ট্রেন লাইনেই পড়ে ছিল শাবকটি। বনদফতরের কর্মীরা বহু চেষ্টা করে হস্তিশাবকটিকে রেললাইন থেকে উদ্ধার করলেও সেটিকে বাঁচানো যায়নি। রাতেই মৃত শাবকটিতে উদ্ধার করে বনকর্মীরা আমলাগোড়া রেঞ্জের পাতরিশোল বিট হাউসে নিয়ে আসেন। বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পরে হস্তিশাবকটির দেহ দাহ করা হয়।

বন দফতর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৩০-৩২টি হাতির একটি দল নয়াবসত রেঞ্জ এলাকার বোরোজাম জঙ্গল থেকে আমলাগোড়া রেঞ্জ এলাকার কালীপুরের জঙ্গলে যাচ্ছিল রেললাইন পেরিয়ে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ চন্দ্রকোনা রোড থেকে গড়বেতার দিকে আসা একটি মালগাড়ির ধাক্কায় আহত হয় একটি হস্তিশাবক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছেও প্রথমে বনকর্মীরা জখম শাবকটিকে লাইন থেকে উদ্ধার করতে পারছিলেন না। কারণ, আশেপাশেই ছিল অন্য হাতিগুলি। প্রায় ঘন্টা দেড়েক পরে শাবকটিকে মৃত অবস্থাতেই রেললাইন থেকে উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

হস্তিশাবকের মৃত্যুতে উঠছে প্রশ্ন। হাতির এই দলটিকে নয়াবসত এলাকা থেকে হুলাপার্টির সদস্যেরা ‘ড্রাইভ’ করে আমলাগোড়া রেঞ্জের দিকে আনছিল। তিনটি হুলাপার্টির সদস্যেরা এই কাজ করছিলেন। হাতি তাড়ানোর পথে রেল লাইন থাকা সত্বেও ‘ড্রাইভ’ বন্ধ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি বন দফতর। বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও মনীশ যাদব বলেন, ‘‘আমরা হাতিদের রেললাইন পার করানোর সময় সংশ্লিষ্ট রেল স্টেশনে জানাই। এক্ষেত্রেও আমলাগোড়া রেঞ্জ থেকে জানানো হয়েছিল। দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র বন দফতরের কর্মীরা প্রাণীচিকিৎসকের দলকে নিয়ে যান। তবে দুর্ভাগ্যজনক যে জখম হস্তিশাবককে বাঁচানো যায়নি।’’

হাতিগুলিকে যে রেঞ্জ থেকে ‘ড্রাইভ’ করে আনা হচ্ছিল, সেটি বন দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশনের মধ্যে পড়ে। এই ডিভিশনের ডিএফও সন্দীপকুমার বেরোয়াল বলেন, ‘‘আমরা ভাল ভাবেই হাতিগুলিকে আমলাগোড়া রেঞ্জ এলাকায় পাঠিয়েছিলাম। হুলাপার্টি দিয়ে ড্রাইভ করা হচ্ছিল না। শুধু চলার পথে তারা যাতে এদিক ওদিক না হয় সে জন্য গাইড করা হচ্ছিল। স্থানীয়েরা ফসল বাঁচাতে চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা।’’ দুই ডিভিশনের দুই ডিএফও -ই বলেন, ‘‘গাফিলতির কিছু নেই। তদন্তেরও কিছু নেই। এটা নিছকই দুর্ঘটনা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement