সাকুল্যে দেড় দিন নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন এক প্রসূতি। তাঁর যমজ কন্যাসন্তানের স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। এক জনের প্রসব হয়েছে গাড়িতেই। তবু ৩৮ ঘণ্টায় নার্সিংহোমের বিল ৩১,৪৯৫ টাকা!
এই ঘটনায় কাঠগড়ায় মেদিনীপুরের একটি নার্সিংহোম। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রবীন্দ্রনগরের ওই ‘মিদনাপুর নার্সিংহোম’-এ ভর্তি ছিলেন বছর পঁচিশের শেফালি মাইতি। ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছেন প্রসূতির স্বামী রাধামাধব মাইতি। অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও পাঠিয়েছেন। আর শনিবার সকালে ধারদেনা করে নার্সিংহোমের বিল মিটিয়ে স্ত্রী-মেয়েদের এনে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করিয়েছেন পেশায় দিনমজুর রাধামাধববাবু।
বৃহস্পতিবার স্ত্রীকে প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার নার্সিংহোমে নিয়ে যান রাধামাধববাবু। পরে ভাড়ার গাড়িতে শেফালিদেবীকে মেদিনীপুরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর মণ্ডলের চেম্বারে আনা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ ভাড়ার গাড়িতেই প্রথম কন্যাসন্তানের জন্ম দেন শেফালিদেবী। রাধামাধববাবু ‘মিদনাপুর নার্সিংহোম’-এ স্ত্রীকে নিয়ে যান। ‘কল’ পেয়ে আসেন চিকিত্সক দীপঙ্করবাবু। স্বাভাবিক ভাবেই দ্বিতীয় কন্যাসন্তান প্রসব করেন শেফালিদেবী।