লাইসেন্সের কড়াকড়ি, বাইকের বিক্রিতে ভাটা

কাঁথির খড়গপুর বাইপাসে বেশ কিছু মোটরবাইক শো রুম রয়েছে। এমনই দোকানের ম্যানেজার সোমেশচন্দ্র রাউৎ বলেন, ‘‘আগে আমাদের শো রুমে প্রতিদিন গড়ে ২২ থেকে ২৫ টি গাড়ি বিক্রি হত। এখন দিনে কোনও দিন একটি, কোনও দিন বা একটিও গাড়ি বিক্রি হয় না। এই ভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই বহু ছেলের কাজ চলে যাবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৮ ০৭:০০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

লাইসেন্স ছাড়া মোটরবাইক বিক্রি বন্ধ রাখতে পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। তার প্রভাব পড়েছে কাঁথি এলাকার মোটরবাইক ব্যবসার। কাঁথি শহর-সহ আশেপাশের বেশ কিছু মোটরবাইক শো রুমে বিক্রির পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

পথ নিরাপত্তার উপরে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন সচেতনতা মূলক প্রচার অভিযান চালানো হলেও শহর এবং গ্রামীণ এলাকা হেলমেটবিহীন কম বয়সী মোটরবাইক আরোহীদের উপরে তেমন ভাবে রাশ টানা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি কম বয়সী বাইক আরোহীদের দুর্ঘটনার কবলে পড়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। ওই সব ঘটনা রুখতে জেলার পরিবহণ আধিকারিকদের রাজ্য পরিবহণ দফতর পরামর্শ দিয়েছে, ডিলারেরা যেন লাইসেন্স ছাড়া মোটরবাইক বিক্রি না করেন। ডিলারদের দাবি, সরকারের ওই প্রচেষ্টায় মার খাচ্ছে তাদের ব্যবসা।

কাঁথির খড়গপুর বাইপাসে বেশ কিছু মোটরবাইক শো রুম রয়েছে। এমনই দোকানের ম্যানেজার সোমেশচন্দ্র রাউৎ বলেন, ‘‘আগে আমাদের শো রুমে প্রতিদিন গড়ে ২২ থেকে ২৫ টি গাড়ি বিক্রি হত। এখন দিনে কোনও দিন একটি, কোনও দিন বা একটিও গাড়ি বিক্রি হয় না। এই ভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই বহু ছেলের কাজ চলে যাবে।’’

Advertisement

শুধু একটি গাড়ি সংস্থার শো রুম নয়, একাধিক সংস্থার ক্ষেত্রেই ছবিটা একই। একটি মোটরবাইক শো রুমের এক কর্মচারীর কথায়, ‘‘গত ২৮ জুন রাজ্য পরিবহণ দফতর ওই নির্দেশিকা জারি করেছে। গত ১ জুলাই থেকে আমাদের কাছে সার্কুলার আসে। আর তারপর থেকেই লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি বিক্রি বন্ধ।’’ ওই ব্যক্তির কথায়, ‘‘সরকারের ওই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এতে অনেক দুর্ঘটনা আটকানো সম্ভব। কিন্তু তার আগে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা দরকার। আর আমাদেরও রাজ্য সরকারের কিছুটা সময় দেওয়া উচিত ছিল।’’ আবার, রঞ্জিত বর্মণ নামে এক গ্রাহক বলেন, ‘‘এমনিতেই লাইসেন্স পেতে দু’তিন মাস সময় লেগে যায়। এই নতুন পরিকল্পনায় মোটরবাইক কেনা বেশ মুশকিল হয়ে পড়েছে।’’

কাঁথির আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর অবশ্য তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের মধ্যে প্রথম কাঁথিতেই অনলাইনে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাচ্ছে। আবেদনের পর পরীক্ষায় পাশ করলেই লাইসেন্স তুলে দেওয়া হবে। কাঁথির আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘‘এখন অনলাইনে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাচ্ছে। সময় কম লাগছে। সাধারণ মানুষ ওই আবেদন করে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেই দ্রুত লাইসেন্স মিলছে। কিন্তু কোনও ভাবেই লাইসেন্স ছাড়া মোটর বাইক বিক্রি সম্ভব নয়।’’

গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম-এর আর্জি, এই ভাবনা সঠিক ভাবে কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা করুক রাজ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement