ফের ভকসল, এ বার মিলল বালি খাদানে

মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতীতে বালি খাদান রয়েছে। এ দিন সকালে ওই খাদান থেকে বালি তোলার কাজ চলছিল। তখনই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভকসলগুলি (এক ধরনের হাত কামান, যার সাহায্যে আগুনের গোলা ছুড়ে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়) উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:০৯
Share:

হাত-কামান: কনকাবতীর খাদানে বালি তোলার সময় উদ্ধার হয় এই ভকসল। নিজস্ব চিত্র

বালি খুঁড়তে গিয়ে মিলল অস্ত্র। শুক্রবার বালি খাদান থেকে উদ্ধার হল ভকসল।

Advertisement

মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতীতে বালি খাদান রয়েছে। এ দিন সকালে ওই খাদান থেকে বালি তোলার কাজ চলছিল। তখনই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভকসলগুলি (এক ধরনের হাত কামান, যার সাহায্যে আগুনের গোলা ছুড়ে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়) উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত, ভকসলগুলি অন্তত আট-ন’বছরের পুরনো। কেশপুর, গড়বেতায় পুরনো অশান্তি পর্বে এই অস্ত্রের ব্যবহার দেখেছিল জেলাবাসী। পরে জঙ্গলমহলের আন্দোলনপর্বেও ভকসলের ব্যবহার হয়েছে। এ দিনের অস্ত্র উদ্ধার উস্কে দিয়েছে সেইসব স্মৃতি।

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “কনকাবতী থেকে কয়েকটি ভকসল উদ্ধার হয়েছে। ভকসলগুলি খুব পুরনো। তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনের ঘটনায় মামলা রুজু হবে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, “অনেকদিন আগে কেউ বা কারা ভকসলগুলি ওখানে পুঁতে রেখে গিয়েছে। না- হলে মাটির এতটা তলায় ভকসলগুলি থাকত না।” স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় দশ-বারো ফুট মাটি খোঁড়ার পরেই ভকসলগুলি উদ্ধার হয়। এ দিন সকালে বালি তোলার সময় আচমকাই কয়েকজন শ্রমিক মাটির নীচে লোহার মতো জিনিস দেখতে পান। শুরুতে দু’টি ভকসল উদ্ধার হয়। পরে চারপাশে ফের মাটি খোঁড়া হয়। উদ্ধার হয় আরও সাতটি ভকসল। সবক’টিই মরচে ধরা। মাওবাদী মোকাবিলায় জঙ্গলমহলে সশস্ত্র শিবির খোলার অভিযোগ নতুন নয়। তৃণমূলের অভিযোগ, মাওবাদী মোকাবিলার নামে সশস্ত্র শিবির খুলে বিরোধী কর্মীদের উপরই অত্যাচার করত সিপিএম। রাজ্যে পালাবদলের পরে এই কনকাবতী থেকেই প্রচুর পরিমাণ বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কখনও সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ের সামনে মাটি খুঁড়ে অস্ত্র মিলেছে। আবার কখনও বালি খাদানে মাটি খুঁড়ে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। এ দিনের ঘটনার পরে জেলার তৃণমূল নেতা দীনেন রায় বলেন, “কনকাবতীতে যা উদ্ধার হয়েছে তা সিপিএমের লোকজনদেরই। ওরাই এ সব মজুত করত। বেআইনি অস্ত্র রেখে ওরা এলাকায় অশান্তি করত।” মেদিনীপুরের সিপিএম নেতা সারদা চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, “এ সব বস্তাপচা অভিযোগ। মাওবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কারা জঙ্গলমহলে অশান্তি তৈরি করেছিল তা জঙ্গলমহলের মানুষ জানেন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement