উদ্ধার হওয়া বন্দুক। নিজস্ব চিত্র
একশো দিনের কাজের মাটি কাটতে গিয়ে উদ্ধার হল একনলা দেশি বন্দুক। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের আগুইবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়পাল গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, একশো দিনের প্রকল্পে বড়পাল গ্রামে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী এক ব্যক্তির জমিতে বনসৃজনের জন্য মাটি কাটার কাজ চলছে। শ্রমিকরা জানান, এ দিন সকালে কোদাল-গাঁইতি দিয়ে মাটি কাটার সময় একটি জং ধরা একনলা বন্দুক বেরিয়ে আসে। এরপরই শুরু হয় অতীত সন্ত্রাসের স্মৃতিচারণ। কারণ, ২০০৯-’১০ সালে মাওবাদীদের ঘাঁটি ছিল বড়পাল লাগোয়া বিরিহাঁড়ি এলাকা। সন্ত্রাসপর্বের সময়ে বিরিহাঁড়ি হাইস্কুলের এক পার্শ্বশিক্ষককে অপহরণ করেছিল মাওবাদীরা। বেশ কয়েক বছর পরে বৃন্দাবনপুরের জঙ্গল থেকে হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছিল। তদন্ত ও পরীক্ষার পর জানা যায়, ওই হাড় পার্শ্বশিক্ষকেরই।
পুলিশের অনুমান, বছর আটেক আগে মাওবাদীরা ওই একনলা বন্দুকটি মাটিতে পুঁতে রেখেছিল। এ দিন খবর পেয়ে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্দুকটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, বন্দুকটির ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে। আগুইবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় সদস্য সুষমা মাহাতো বলেন, “বন্দুকটি অশান্তিপর্বের সময়ের বলে স্থানীয়েরা মনে করছেন। এখন এলাকায় শান্তি রয়েছে। মানুষের মনে আর ভয় নেই।” এ দিন পুলিশ এসে এলাকায় তল্লাশি চালায়। তবে কিছু পাওয়া যায়নি। পুলিশ বন্দুক উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পরে ফের মাটি কাটার কাজ শুরু হয়।