মৃত হাতি। — নিজস্ব চিত্র।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি হাতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার সকালে গড়বেতার ধাদিকা বিটের খড়িকাশুলিতে আলু খেতের পাশে হাতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে হাতিটি করে মারা গিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে হাতির শুঁড়ে বিদ্যুতের শক লাগার চিহ্ন রয়েছে।’’
দিন পনেরো ধরে গড়বেতার আশনাশুলি, গিলাবনি, কুইলাবাঁধ ভাটপাড়ার জঙ্গলে ৬০-৬৫ টি হাতি বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ঘুরছে। খাবারের সন্ধানে রাতে বিভিন্ন এলাকায় হানা দিচ্ছে হাতি। দিন কয়েক আগে গিলাবনিতে হাতির হানায় একজনের মৃত্যু হয়। হাতির হানা ঠেকাতে এলাকার একাংশ চাষি আলুর খেত, ফুলকপি ও বাঁধাকপির খেতের পাশে লোহার তারের বেড়া দিয়েছে। হাতির তাণ্ডবে ফসলের ক্ষতি ঠেকাতে রাতে তারের বেড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে রাতে আলুর খেতে নামতে গেলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হচ্ছে হাতি। বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ দফতরকে লিখিতভাবে রাতে সরবরাহ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েও কাজ হয়নি।’’
বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ম্যানেজার পার্থপ্রতিম নস্কর বলেন, ‘‘বন দফতরের কথায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা যায় না। প্রশাসনিক স্তর থেকে পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ এলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।’’ মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক দীণনারায়ন ঘোষ বলেন, ‘‘দু’টি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’’