—প্রতীকী চিত্র।
মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। প্রতিদিনই হচ্ছে আন্দোলন-প্রতিবাদ। এই আবহে শুক্রবার এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ময়না থানার অওতাধীন দেউলি এলাকায় শ্যামপুর গ্রামে। অভিযুক্ত বয়সে প্রৌঢ়। তাকে আটক করে গণপিটুনি
দিয়েছেন গ্রামবাসী।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে ময়নার দেউলি আদর্শ বিদ্যাপীঠের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী টিউশন থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। সে সময় শ্যামপুর গ্রামের রাস্তায় এক প্রৌঢ় তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়েরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্তকে ধরে প্রবল পিটুনি দেওয়া হয়। ময়না থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পরে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত প্রৌঢ় প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় এলাকায় ঘুরে বেড়ান। স্কুলে যাতায়াত করা ছাত্রীদের উত্যক্ত করেন। এ নিয়ে তাঁকে আগেও সাবধান করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন সকালে তিনি ফের একই কাণ্ড করেছেন বলে দাবি।
দেউলি আদর্শ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুল থেকে কয়েকশো মিটার দূরের এমন ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষিকারাও সরব। হাই স্কুলের শিক্ষক বাসুদেব দাস বলেন, ‘‘এলাকায় মদ ও মাদকে আসক্ত ব্যক্তিদের উপদ্রব ক্রমশ বাড়ছে। মদ্যপ অবস্থাতেই অনেকেই রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। স্কুলের ছাত্রীদের যাতায়াতের সময়ে তাদের হেনস্থা করেন ওই মদ্যপরা। এলাকার অভিভাবক ও বাসিন্দাদের উদ্বেগ বাড়ছে। তবে শুক্রবার সকালে গ্রামবাসীরা যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।’’
আর জি কর-কাণ্ডের পরে রাতে মহিলাদের নিরাপত্তার দিতে পুলিশ বাড়তি উদ্যোগী হয়েছে। রাস্তায় নেমে খোঁজ নিচ্ছেন খোদ জেলা পুলিশ সুপার। তবে দিনেও এমন ঘটায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠছে। পুলিশ জানাচ্ছে, স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহারের ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতেই পুলিশ বাহিনী গিয়েছিল। অভিযুক্তের ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্ত চলছে।