বাবুল সুপ্রিয় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে আমরা বিশ্বাস করি না— সোমবার খড়্গপুরে এমনই দাবি করলেন বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি দিলীপবাবু এ দিন হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিলীপবাবু বলেন, “শিল্পী হিসাবে বাবুল সুপ্রিয় কোনও অনুষ্ঠানে যেতেই পারেন। আগে দেখতে হবে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে তিনি যুক্ত কি না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘তাপস পাল দিদির শিখিয়ে দেওয়া কথা বলছেন। আমাদের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত আছেন বলে বিশ্বাস করি না। তদন্তে আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে কারও যোগ প্রমাণিত হলে বিজেপি তাঁর পাশে থাকবে না।’’
দীর্ঘদিন খড়্গপুর হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক না হওয়ায় ঊষ্মা প্রকাশ করেন দিলপীবাবু। তাঁর অভিযোগ, “রোগী কল্যাণ সমিতিতে বিরোধী দলের বিধায়ক যুক্ত থাকুন, সেটা রাজ্য সরকার চাইছে না। গত জুলাই মাসে সমিতির বৈঠকে বসেছিলাম। তারপর অক্টোবর মাসে ফের সমিতির বৈঠক করা উচিত ছিল। যদিও তা হয়নি।’’ দিলপীববাবুর দাবি, ‘‘মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডিএ)-এর বৈঠকেও আমাকে ডাকা হচ্ছে না। ওঁরা সব নিজেদের মতো চালাতে চাইছে।”
হাসপাতালের ট্রমা ইউনিটও পরিদর্শন করেন খড়্গপুরের বিধায়ক। তিনি বলেন, “ট্রমা ইউনিট চালু হয়েছে বলে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ইউনিটের পরিকাঠামোই এখনও পুরো তৈরি হয়নি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ইউনিটের অনেক সরঞ্জাম কেনা বাকি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও নেই। রোগীদের রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও এই ইউনিটের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া প্রায় ১ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে।’’
যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “ট্রমা ইউনিট চালু রয়েছে। এই ইউনিটে রোগীও ভর্তি হচ্ছেন। তবে গুরুতর জখম রোগীকে এই ইউনিটে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ইউনিটে চিকিৎসকেরও অভাব রয়েছে। বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্যভবনে জানিয়েছি।”