জোর করে কয়েকটি দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল কেশপুরে। অভিযোগের তির তৃণমূলের শাসক গোষ্ঠীর দিকে। যাঁদের দোকান বন্ধ করা হয়েছে, তাঁরা তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। শাসক দলের এক সূত্রের দাবি, মহিউদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের। অভিযোগ, সঞ্জয় পানের নির্দেশেই তাঁর কয়েকজন অনুগামী এদিন সকালে কেশপুর বাজারের ওই দোকানগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য করেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “জোর করে বেশ কয়েকটি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সঞ্জয় পানের নির্দেশে এ সব হচ্ছে। ওরা এলাকা দখলের লড়াই করছে। সব ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছি।” তাঁর দাবি, “অন্যায়- লুঠের প্রতিবাদ করি বলেই এ ভাবে জোরজুলুম চলছে। কেউ কেউ বলছেন মীমাংসা করে নিতে। কীসের ঝগড়া, কীসের মীমাংসা তাই বুঝতে পারছি না!” দোকান বন্ধের দায় অবশ্য নিতে নারাজ সঞ্জয় পান। তিনি বলেন, “দোকান বন্ধের ব্যাপারে কিছু জানি না! কার সঙ্গে কার ঝগড়া হয়েছে, কে কোথায় কি করছে, সব জানব কি করে! দল কোনও অন্যায় কাজে নেই।” দিন কয়েক আগে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে
কেশপুরের খেজুরবনিতে।
কেশপুর বাজারের এই ঘটনা খেজুরবনির ঘটনারই জের বলে দলের এক সূত্রের দাবি। এদিন যাঁদের দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ, তাঁদের অনেকেরই বাড়ি খেজুরবনি ও তার আশপাশের এলাকায়। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি আশিস চক্রবর্তী বলেন, “কেশপুরে একটা সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি! ঠিক কি হয়েছে খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে কোনও অন্যায় কাজকেই দল সমর্থন করে না। অন্যায় কিছু হয়ে থাকলে দল ব্যবস্থা নেবে।”