জখমদের চিকিৎসায় ত্রুটির নালিশ কেশপুরে

চিকিৎসক না থাকায় বাস দুর্ঘটনায় জখমদের চিকিৎসা শুরুতে দেরির অভিযোগ উঠল কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রতিবাদে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় জখমদের পরিজনেরা। সোমবার সকালে কেশপুরের ধলডাংরার ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়েছে জেলার স্বাস্থ্য মহলেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ০০:১০
Share:

চিকিৎসক না থাকায় বাস দুর্ঘটনায় জখমদের চিকিৎসা শুরুতে দেরির অভিযোগ উঠল কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রতিবাদে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় জখমদের পরিজনেরা। সোমবার সকালে কেশপুরের ধলডাংরার ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়েছে জেলার স্বাস্থ্য মহলেও।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “কেশপুর হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকার অভিযোগ ঠিক নয়। এ দিন সকালে ওখানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। দেখছি ঠিক কি হয়েছিল।” তাঁর আশ্বাস, “হয়তো পরিকাঠামোগত কোনও খামতি থাকতে পারে। তবে তা দূর করতে সব রকম পদক্ষেপ করা হবে।”

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বাসে করে এক উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রায় ৪০ জন। তাঁরা কেশপুরেরই বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এ দিন সকালে ওই বাসে করেই এলাকায় ফিরছিলেন তাঁরা। ধলডাংরার কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে রাস্তার পাশের ধান খেতে গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় প্রায় ৩২ জন বাস যাত্রী জখম হন। জখমদের উদ্ধার করে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

আহতদের পরিজনেদের অভিযোগ, চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হতেই অনেক দেরি হয়েছে।

শেখ জাকির হোসেন, শেখ মজফ্ফর হোসেনদের অভিযোগ, “হাসপাতালের অবস্থা একেবারে বেহাল। ডাক্তার নেই, নার্স নেই। এ ভাবে হাসপাতাল চলে না কী!’’ তাঁদের অভিযোগ, ‘‘এই গ্রামীণ হাসপাতালের উপর কেশপুরের অনেক মানুষ নির্ভরশীল। অথচ এই হাসপাতালের এমন অবস্থা হবে কেন। অবিলম্বে নজরদারি বাড়ানো উচিত।”

দুর্ঘটনায় জখমদের পরিজনেদের অভিযোগ, হাসপাতালের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। হাসপাতালের এ দিকে- সে দিকে পড়ে থাকে দাহ্যবস্তু, আবর্জনা। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “পরিকাঠামোগত কিছু খামতি থাকতে পারে। আগের থেকে পরিষেবা উন্নত হয়েছে। তবে আর কী কী প্রয়োজন, তা দেখা হবে!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement