মেয়াদ পেরনো দই বিক্রির নালিশ

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল চত্বরে থাকা সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত দুগ্ধজাত পণ্য সামগ্রীর দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া দই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:২১
Share:

তদন্তে হাসপাতালের সহকারী সুপার। নিজস্ব চিত্র।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল চত্বরে থাকা সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত দুগ্ধজাত পণ্য সামগ্রীর দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া দই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার জেরে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ পেয়ে জেলা হাসপাতালের আধিকারিক দোকান পরিদর্শনে যান। তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে দোকানের বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে এবং দোকান সিল করে দেয়।

Advertisement

জেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের অধীনস্থ একটি সংস্থার দুগ্ধজাত বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রির জন্য জেলা হাসপাতাল চত্বরে একটি দোকান খোলা হয়েছিল কয়েক বছর আগে। দুধ, দই, আইসক্রিম, পনির, প্যাঁড়া-সহ নানা দুগ্ধজাত পণ্য ছাড়াও পাউরুটি, চা, কফি, চকলেট, পানীয় জল বিক্রি করা হয় ওই দোকান থেকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তমলুক শহরের বাসিন্দা বিক্রম সামন্ত নিজের মেয়ের জন্য একটি দই-এর প্যাকেট কিনে নিয়ে যান। কিন্তু ওই দই খাওয়ার পরেই আড়াই বছরের ওই শিশু অসুস্থ হয়ে বমি করতে থাকে বলে বিক্রমবাবুর অভিযোগ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিক্রমবাবু অভিযোগ জানানোর পরেই জেলা হাসপাতালের সহকারী সুপার দিলীপ গিরি গোস্বামী ওই দোকান পরিদর্শনে যান। বেশ কিছু প্যাকেট পরীক্ষা করে দেখেন সেগুলিতেও ওইসব পণ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখের কালি ঘষে তোলা হয়েছে। দোকানে থাকা কর্মী দিলীপবাবুর কাছে বলেন, ভুলবশত ওই দইরপ্যাকেটে বিক্রি করা হয়েছে। যদিও দইয়ের প্যাকেটে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ মোছা হল কেন সদুত্তর দিতে পারেননি ওই কর্মী।

Advertisement

পরে তমলুক থানার পুলিশ ওই দোকানের দই, প্যাড়া সহ দুদ্ধজাত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে দোকান সিল করে।ওই দোকান কর্মীকে আটক করে। জেলা হাসপাতাল চত্বরে থাকা দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ দুগ্ধজাত সামগ্রী বিক্রির ঘটনার কথা জানাজানি হতেই হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জেলা হাসপাতালের সুপার গোপাল দাস বলেন। ‘‘হাসপাতাল চত্বরে ওই দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ দই বিক্রির অভিযোগ এসেছিল। এ বিষয়ে আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement