স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এক দম্পতির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পাঁশকুড়ার বাহারগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ওই দম্পতি পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার পরে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টে তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন ওই ব্যক্তি। প্রতারণায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশ অভিযোগকারী দম্পতির সঙ্গে অভিযুক্তের মধ্যে থানায় আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মেটানোর জন্য সালিশ করে বলে অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার আলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’
পাঁশকুড়া পুরসভার বাহারগ্রাম এলাকার বাসিন্দা চন্দন বালা ও তাঁর স্ত্রী ক্যামেলিয়া বালা নামে ওই দম্পতি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাঁশকুড়ার অশুধপুর গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার আচার্য নামে পরিচিত এক ব্যক্তি জানান, তাঁর হাতে স্বাস্থ্য দফতরের ওয়ার্ড বয় ও ওয়ার্ড সিস্টারের দুটি চাকরি রয়েছে। চাকরি করতে চাইলে তিনি ব্যবস্থা করে দেবেন। চন্দনবাবু জানান, স্বামী-স্ত্রী মিলে ওই চাকরির জন্য তাঁরা আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। সেজন্য প্রথমে তাঁদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন সুকুমারবাবু। চন্দনবাবু বলেন, ‘‘এরপর সুকুমারবাবু আমাদের কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কয়েকদিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর নিয়োগপত্র দেওয়ার ফের আমাদের কাছ থেকে আরও প্রায় এক লক্ষ টাকা নেন সুকুমারবাবু। গত মার্চ মাসে সুকুমারবাবু আমাদের বাড়িতে এসে স্বাস্থ্য দফতরের দুটি নিয়োগপত্র হাতে দেন। পাঁশকুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য ওই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই নিয়োগপত্র নিয়ে পাঁশকুড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজে যোগ দিতে গেলে আমাদের জানানো হয় এই ধরনের পদ নেই।’’
চন্দনবাবুর অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগ দেওয়ার কথা জানতে পেরে তাঁরা সুকুমারবাবুর কাছে টাকা ফেরত চেয়েছিলেন। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে সুকুমারবাবু তাঁদের নানা হুমকি দিতে থাকেন। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে যাই।
মঙ্গলবার ওই দম্পতি পাঁশকুড়া থানায় সুকুমার আচার্যের বিরুদ্ধে পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু ওই দম্পতির অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকুমার আচার্যের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য বুধবার থানায় সালিশির জন্য ডাকে বলে অভিযোগ। যদিও পাঁশকুড়া থানার পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।