কটূক্তির প্রতিবাদে মারধরের নালিশ

স্কুলে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি। রাস্তায় তখন জটলা একদল ছেলের। তাদের সামনে দিয়ে যেতেই শুরু হল কটূক্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৮
Share:

স্কুলে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি। রাস্তায় তখন জটলা একদল ছেলের। তাদের সামনে দিয়ে যেতেই শুরু হল কটূক্তি।

Advertisement

আর এই কটূক্তির প্রতিবাদ করায় ওই কিশোরীর দাদাকে মারধরের অভিযোগ উঠল ওই যুবকদের বিরুদ্ধে। জখম অবস্থায় ওই কিশোরীর দাদা আপাতত চিকিৎসাধীন তমলুকের একটি নার্সিংহোমে।

সোমবার বিকেলে মহিষাদলের এই ঘটনায় অভিযোগের তির স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ছেলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত যুবকের পরিবার মঙ্গলবার দুপুরে মহিষাদল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ জানিয়েছে, লক্ষ্যা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেফালি দেবনাথের ছেলে টিঙ্কা ও স্বামী চূড়ামণি দেবনাথ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। টিঙ্কা-সহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
দায়ের হয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে ওই কিশোরীকে কটূক্তির পর সে বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানিয়েছিল। সেই কথা শুনে ওই কিশোরীর দুই খুড়তুতো দাদা ঘটনাস্থলে যায়। আর সেখানে যেতেই অভিযুক্তদের সঙ্গে বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযুক্তরা ওই দুই যুবককে মারধর করে ফেলে পালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে ওই দুই যুবককে উদ্ধার করে।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আক্রান্ত ওই যুবক বলেন, ‘‘বোনের অপমানের কথা শুনে মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। কিন্তু প্রতিবাদের জন্য জুটল মার। আমি চাই দোষীদের শাস্তি হোক।’’ যদিও টিঙ্কা দেবনাথের বাবা চূড়ামণি দেবনাথের দাবি, “আমার ছেলে কাউকে উত্যক্ত করেনি। আমি তো কাউকেই মারিনি।’’

মহিষাদলের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, “যারা এমন কাজ করেছে তাদের শাস্তি হবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement