খরচের প্রামাণ্য তথ্য জমা না দেওয়ায় চেকে সই করেননি তিনি। আর সে কারণেই স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষক-সহ প্রাক্তন সম্পাদকের বিরুদ্ধে। সোমবার চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুর হাইস্কুলের ঘটনা। স্কুলের সভাপতি লক্ষীকান্ত কুণ্ডু এই বিষয়ে থানায় মারধর-সহ জোর করে চেকে সই করানোর লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
স্কুল সূত্রের খবর, গত শুক্রবার দিন স্কুলে উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠক ছিল। সেখানে স্কুল সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়। তারপর সভাপতিকে চেকে সই করার আর্জি জানান প্রধান শিক্ষক-সহ অনান্য সদস্যরা।
স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি লক্ষীকান্ত কুণ্ডুর সাফ কথা, “আমাকে জোর করে বহু চেকে সই করানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত কোনও হিসাব আমাকে দেওয়া হয়নি। তাই ফের চেকে সই করতে বললে আমি রাজি হয়নি। তখনই স্কুলের ভিতর কিল-চড় মারা হয়। ফোনেও হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বদের জানানো হয়েছিল। সমস্যার সমাধান না হওয়ায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।”
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবদাস দত্তের জবাব, ‘‘স্কুলের উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। খরচের সব কাগজ আমি তো জমা দিয়েছি।’’ আর স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা স্কুলের প্রাক্তন সম্পাদক অশোক সরকারের দাবি, ‘‘আমি তো বৈঠকেই ছিলাম না। মারধর তো দূরের কথা।’’ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের চন্দ্রকোনা-২ ব্লক সভাপতি অমতাভ কুশারী বলেন, “কুঁয়াপুর স্কুলে একটা ঘটনা ঘটেছে। মিটেও গিয়েছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের এক শিক্ষকের কথায়, “বৈঠক চলাকালীন চিৎকার কানে আসে। শুনি সভাপতি সাহেবকে মারধর করা হয়েছে। এটা ঠিক হয়নি।’’