প্রচারে: বামেদের প্রচার কাঁথিতে। নিজস্ব চিত্র
আগামী রবিবার দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভার উপ-নির্বাচন। ফলে আজ, প্রচারের শেষ দিন। আর শেষ পর্বে সব রাজনৈতিক দলের জোরকদমে প্রচার সেরে ফেললেন।
বৃহস্পতিবার দইসাই ও নয়াপুটে পদযাত্রা করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমাদের প্রাথী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কত ব্যবধানে জিতবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। বিরোধীরা তো কে দ্বিতীয় হবে তার জন্য লড়ছে।’’
এ দিন বিকেলে কাঁথিতে যুব তৃণমুল মিছিল করে। পুরনো দিঘা বাসস্ট্যান্ড থেকে এই মিছিল শুরু হয়। শেষ হয় কাঁথি রসুলপুর বাস স্ট্যান্ডের কাছে। সেখানে এক সভায় বক্তব্য পেশ করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়। সুব্রতবাবু বলেন, “বিরোধীরা তৃণমূলের উন্নয়নের কাছে উড়ে যাবে।’’
এতদিন ছোট ছোট পাড়া বৈঠক ও বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিয়েছে বিরোধী বাম শিবির। এ দিন তারা মিছিল করে। কাঁথি জুনপুট বাস স্ট্যান্ড থেকে এই মিছিলে পা মেলান বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইয়ের প্রাক্তন সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডা। মিছিল শেষ হয় দারুয়ার লাগাহাটে। সেখানে এক জনসভায় বিমান বসু বলেন, “কাঁথিতে ইভিএম-এ এক নম্বরে যার নাম থাকে তিনি জেতেন। এ বার এক নম্বরে বাম প্রাথীর নাম আছে। তাই আমরাই জিতব।“ তবে কি এই সিরিয়াল নম্বরটাই সব ? দল বা প্রাথী কিংবা দলের নীতির কোনো দাম নাই ? এই প্রশ্নগুলির উত্তর এড়িয়ে যান বিমানবাবু। তিনি আরও বলেন, ‘‘বামেরা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে বলে অনেকে বলছে। যদি তাই হয় তবে বামেদের নাম তুলছে কেন?’’
এদি ন মেগা প্রচার সারে বিরোধী বিজেপিও। পিছাবনি, সুজালপুর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় জনসভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। লকেট বলেন, “আমাকেধু দেখে চলে গেলে হবে না। বাড়িতে গিয়ে ভাবতে হবে, ভোটটা ঠিক কাকে দেবেন। কারণ ভোটটা নীতির প্রশ্ন। উচিত অনুচিতের প্রশ্ন।’’