টানা দু’সপ্তাহ পরে মঙ্গলবার জামবনি ব্লকের সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ে অচলাবস্থা কাটল। টিচার-ইনচার্জের পদ থেকে সুতপা ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হল।
এ দিন কলেজের প্রশাসক অসীমকুমার বেরা টিচার্স কাউন্সিলের এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সুতপাদেবীকে সরিয়ে দিয়ে কলেজের বিপিএডের শিক্ষক বিনোদ চৌধুরীকে টিচার-ইনচার্জের দায়িত্ব দেন। সুতপাদেবীকে সরিয়ে দেওয়ায় অবস্থান-বিক্ষোভও প্রত্যাহার করে নেন ছাত্রছাত্রীরা।
কলেজের নানা বিষয় নিয়ে সুতপাদেবীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। গত ১২ অগস্ট সুতপাদেবী বিপিএডের প্রথম বর্ষের আবাসিক এক ছাত্রীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারের চোটে ছাত্রীটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছাত্রীটির বাবা সুতপাদেবীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ১৬ অগস্ট থেকে কলেজের গেটের সামনে সুতপাদেবীর ইস্তফার দাবিতে লাগাতার অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। সুতপাদেবীর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও বহুবিধ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তও দাবি করেন ছাত্রছাত্রীরা।
পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে কলেজের পঠন-পাঠন ব্যহাত হয়। ইতিমধ্যে ঝাড়গ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান সুতপাদেবী। তারপর ‘অসুস্থ’ হয়ে ঝাড়গ্রামের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। সুতপাদেবী কাউকে দায়িত্ব না দেওয়ায় কলেজে অচলাবস্থা তৈরি হয়। অচলাবস্থা কাটাতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মহিষাদল রাজ কলেজের অধ্যক্ষ অসীমকুমার বেরাকে সেবাভারতী কলেজের প্রশাসক নিয়োগ করে।
এদিন অসীমবাবু জানান, সুতপাদেবীকে কলেজে আসতে বলা হলেও তিনি আসেননি। ফোনও ধরেননি। এসএমএসেরও জবাব দেননি। ওঁনাকে সব রকম সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু উনি সহযোগিতা করেননি। কলেজের পড়ুয়ারা সুতপাদেবীর পদত্যাগে অনড় ছিল। শিক্ষকরাও কেউ ওঁনার পক্ষে নেই। তাই সব দিক বিবেচনা করে সুতপাদেবীকে টিচার ইনচার্জ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুতপাদেবীর বিরুদ্ধে ওঠা কলেজ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানান অসীমবাবু।
গ্রন্থাগার দিবস পালন। রাজ্য সরকারের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা বিভাগের উদ্যোগে কাজলা ফণীভূষণ পাঠাগারে পালিত হয় ‘সাধারণ গ্রন্থাগার দিবস উদ্যাপন-২০১৬’। তিনশোর বেশি ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। আলোচনা চক্রে ছিলেন দেশপ্রাণ ব্লকের বিডিও সুজয় দাশগুপ্ত, কাজলা জনকল্যাণ সঙ্ঘের সম্পাদক স্বপন পণ্ডা ও কাজলা ফণীভূষণ পাঠাগারের সম্পাদক প্রণয়কুমার পাল প্রমুখ।