প্রতীকী ছবি
বেসরকারি লগ্নি সংস্থা পিনকনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার ওই সংস্থার কর্তাদের বিচার চলছে পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (তৃতীয়) মৌ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে। সংস্থার প্রধান কর্তা মনোরঞ্জন রায় সহ ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে জেল হেফাজতে। আদালতের নির্দেশে ওই লগ্নি সংস্থার আমানতাকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া চলছে আদালতের তত্ত্বাবধানে। এই অবস্থায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারককে (তৃতীয়) মালদায় বদলির নির্দেশ ঘিরে বুধবার তমলুকে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন আমানতকারীরা।
আমানতকারীদের আশঙ্কা, এই বদলির নির্দেশে তাঁদের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা সংশয়ের মুখে পড়বে। এদিন সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের (তৃতীয়) এজলাসের সামনের চত্বরে জমায়েত হয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে বিচারকের বদলির নির্দেশ বাতিল করার দাবি জানান আমানতকারীরা। ‘শহিদ মাতঙ্গিনী ফ্রিডম ফোরাম’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে পিনকনের আমানতকারীরা ওই বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ চলে। ফোরামের সম্পাদক অভিজিৎ রায়, সভাপতি মনোরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের চালু করা নতুন আইন অনুযায়ী পিনকন লগ্নিসংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাস থেকে ওই মামলা চলছে। বিচারকের নির্দেশে আমাদের মত প্রায় ৩৯ হাজার আমানতকারীর টাকা ফেরতের জন্য আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় বিচারকের বদলির নির্দেশ হওয়ায় আমাদের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আমানতকারীদের টাকা ফেরত এবং ওই মামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান বিচারকের বদলি রদ করতে আমরা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছি। আমনতকারীরাও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিচ্ছেন।’’
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী সৌমেনকুমার দত্ত বলেন, ‘‘পিনকন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষের পর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মোট ১৮ জন আসামীর মধ্যে ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ মনোরঞ্জন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর মামলায় উভয়পক্ষের সওয়াল-জবাব হবে। মামলার বিচারপর্ব এখন শেষ পর্যায়ে।’’