—ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময়ের ব্যবধান। শাসক দলের ‘দুর্গ’ খেজুরিতে খুলল সিপিএমের দলীয় কার্যালয়। বিধানসভা ভোটের আগে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় খোলার ঘটনায় চাপানউতোরে জড়িয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খেজুরি-১ ব্লকের ধোবাপুকুর এলাকায় সিপিএমের একটি দলীয় কার্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। বিধানসভা ভোটের আগেই দলীয় উদ্যোগে তা খোলা হয়। সেখানে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির নেতা হিমাংশু দাস। হিমাংশু জানান, ২০০৯ সালে তৃণমূল জেলা পরিষদে ক্ষমতায় আসার পর কার্যালয়টি ভেঙে দিয়েছিল। বিধানসভা ভোট পরিচালনা করার জন্য সেটি সারানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল। গোটা খেজুরিতে একের পর এক সিপিএমের কার্যালয় দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জনরোষের ভয়ে বহু বাম নেতা ও কর্মী এখনও এলাকা ছাড়া। যদিও, লোকসভা ভোটের কিছু আগে থেকেই খেজুরিতে ফের রাজনৈতিক কার্যকলাপ শুরু করে সিপিএম। ইদানীং খেজুরিতে সিপিএমের সভা এবং মিছিলে বাম কর্মীদের ব্যাপক সাড়া মিলছে বলে নেতৃত্বের দাবি।
যদিও সিপিএমের এই পার্টি অফিস খোলার পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খেজুরিতে ক্রমশ পায়ের তলা থেকে তৃণমূলের মাটি সরে যাচ্ছে। তাই বিধানসভা ভোটে নিশ্চিত হার আটকাতে বিরোধী ভোট ভাগাভাগির কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। সে জন্য তারা পিছন থেকে সহযোগিতা করে একের পর এক সিপিএমের দলীয় কার্যালয় খুলে দিচ্ছে। সিপিএমের সভা ও মিছিল নিজেদের দলের কর্মীদের পাঠাচ্ছে।’’ যদিও এ সব হাস্যকর বলে জানিয়েছে তৃণমূল। খেজুরি-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য বিমান নায়ক বলেন, ‘‘বিজেপি এ রাজ্যে রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া। তাই এ সব বলছে। যার কোনও সারবত্তা নেই।’’