প্রতীকী ছবি।
নির্দিষ্ট সময়ের হবে রাঙাতে হবে স্কুল বাড়ি। কিন্তু পর্যাপ্ত মিস্ত্রি মিলবে তো? চিন্তায় স্থানীয় প্রশাসন।
আগামী শনিবারের মধ্যে স্কুলে নীল-সাদা রং করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। নির্দেশ এসেছে নবান্ন থেকে। নির্দেশ পাওয়ার পরে সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসকের দফতরে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। স্বাভাবিক ভাবেই দ্রুত কাজ শেষ করার ব্যাপারে নিচুস্তরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শেষ করতে হবে কাজ। এতেই চিন্তায় স্থানীয় প্রশাসন। কারণ, রঙ তো করতে হবে। কিন্তু মিস্ত্রি মিলবে তো? কারণ, জেলায় স্কুলের সংখ্যা তো কম নয়। মহিষাদল পঞায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এখানে অনেকেই রাজমিস্ত্রির কাজ করতে ভিন রাজ্যে চলে যান। সমস্যা হবে ঠিকই। তবে কিছু একটা ব্যবস্থা করতে হবে।’’ মহিষাদলের ইটামগরা ২ নম্বর গ্রাম পঞায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাসের কথায়, ‘‘নাওয়া খাওয়া ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আগে থেকে মিস্ত্রি ধরতে না পারলে সমস্যা হবে।’’
সমস্যা রয়েছে অন্যত্র। প্রশাসন সূত্রের খবর, স্কুলবাড়ি রঙের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৩০.৫৭ টাকা খরচ বরাদ্দ করা হয়েছে। যদিও পূর্ত দফতরের ক্ষেত্রে খরচ ধরা হয় ৪১টাকা। দরের এই ফারাক হওয়ায় ঠিকাদারেরা আদৌ কাজ করতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। হলদিয়া ব্লক প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘এই টাকায় কোন ঠিকাদারকে পাব তা নিয়েই দুশ্চিন্তা রয়েছে।’’
স্কুলবাড়ি রঙের জন্য সর্বশিক্ষা মিশন থেকে টাকা পাবে স্কুলগুলি। কীভাবে রং করতে হবে সেই নির্দেশিকাও এসেছে ব্লক প্রশাসনের হাতে। যেসব স্কুলে বিগত ৩ বছরের মধ্যে রং হয়েছে সেখানে রং করা যাবে না। এ ছাড়া ৫বছরের মধ্যে যেসব স্কুল সর্বশিক্ষা মিশন থেকে অতিরিক্ত কক্ষ পেয়েছে সেগুলিও রঙের আওতা থেকে বাইরে থাকবে। হলদিয়ার মহকুমা শাসক পূর্ণেন্দু শেখর নস্কর জানান, মূলতঃ স্কুলের বাইরের অংশ রঙ করা হবে। মূলতঃ পুর এলাকায় ৭৮টি প্রাথমিক স্কুল ও ১৮টি মাধ্যমিক স্কুলের রং করার বিষয়ে তদারকি করবেন তিনি। প্রথমেই শুরু হবে সমীক্ষা। তার পর রঙ করা শুরু হবে। একই রকম নন্দীগ্রাম ২নং ব্লকে ১৮০টি স্কুলের সমীক্ষার কাজ শেষ করে ২৪শে মার্চের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রাম ২ এর বিডিও মহম্মদ ইকবাল। হলদিয়ার সুতাহাটার বিডিও সঞ্জয় শিকদার জানিয়েছেন, সুতাহাটায় প্রায় ৮০টি প্রাথিমিক, ১১টি হাইস্কুল, ৪টি জুনিয়র, ৪টি আপার প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে নির্দিষ্ট বয়ানে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর সাথে নির্মাণ সহায়কদের লাগানো হচ্ছে এই সমীক্ষার কাজে।