লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গেল জোড়া প্রস্তুতি। এক দিকে কোমর বাঁধছে রাজনৈতিক দলগুলি, অন্য দিকে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে প্রশাসনেও।
রবিবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশনে। এ রাজ্যে মোট সাত দফায় লোকসভার ভোটগ্রহণ হবে। ষষ্ঠ দফায়, আগামী ১২ মে পূর্ব মেদিনীপুরের দুই কেন্দ্র তমলুক ও কাঁথিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘তমলুক এবং কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে একই দিনে ভোট হবে। জেলায় মোট ভোটার ৩৮ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৪৮ জন। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনিক যাবতীয় প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে।’’ জেলাশাসক জানান, শীঘ্রই ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। রাজনৈতিকদলগুলি যাতে নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলে, সে জন্য বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের নিয়েও বৈঠক করা হবে
লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জেলা নেতারা দাবি করেছেন, প্রার্থী তালিকা তৈরি, ভোট প্রচারের জন্য দলীয় কর্মীরাও প্রস্তুত। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস বলেন, ‘‘ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত। কর্মীরা বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন। দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।’’ তিনি জানান, প্রচারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার কথা জানানো হবে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির কথায়, ‘‘ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত। তমলুক ও কাঁথি লোকসভায় নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৩ মার্চ রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবেন। আর দলীয় কর্মীরা ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।’’ সবাই যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নিজের ভোট দিতে পারেন নির্বাচন কমিশনকে তা সুনিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি এই সিপিএম নেতার।
বিরোধীদের অবশ্য আমল দিচ্ছে না তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘আমরা প্রস্তুত। জেলায় আমাদের সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তি বিরোধীদের নেই।’’