স্মৃতি: ২০১৬ সালে প্রার্থী হিসেবে শেষ প্রচারে দক্ষিণী নায়িকা নাগমার সঙ্গে খোশমেজাজে (বাঁ দিকে)।
বছর দেড়েক আগেও খোলা জিপে দেড় ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে তাঁকে রোড-শো করতে দেখেছিল খড়্গপুর। নবতিপর জ্ঞানসিংহ সোহনপাল থুড়ি রাজ্য-রাজনীতির ‘চাচা’র স্ট্যামিনায় দক্ষিণী ছবির নায়িকা নাগমাও তখন মুগ্ধ।
সেটা ছিল ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের প্রচার-পর্ব। জীবনের শেষ ভোটযু্দ্ধে হেরেই যান রেলশহরের সঙ্গে সমার্থক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। কিন্তু সব থেকে বেশি বার জিতে বিধানসভায় ঠাঁই পাওয়ার রেকর্ডটি এখনও তাঁর দখলেই। বর্তমানে তৃণমূলের দলভু্ক্ত মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার মতো ভোটে অপরাজেয় না-হলেও রেজ্জাকসাহেব ও চাচা দু’জনেই ১০ বার বিধানসভায় জিতে এসেছেন। তবে চাচা-র রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতার ম্যাজিক অন্য জায়গায়। খড়্গপুরে চাচা-র মহিমার সঙ্গে অনেকেই মালদহের গনি খান চৌধুরীর তুলনা করেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, চাচার অস্তিত্ব অনেকটাই নিচু তারে বাঁধা। মোটেও তেমন বলিয়ে-কইয়ে নন। তবু দশকের পর দশক খড়্গপুরের ‘মনের মানুষ’ হয়ে তিনি রাজত্ব করেছেন।
অনেকের মতে, চাচার ছকে-বাঁধা জনসংযোগই এর কারণ। খড়্গপুরে অফিস করার ঢঙে গোলবাজারের পার্টি অফিসে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পড়ে থাকতেন শীর্ণদেহী সর্দার। ভোটবাক্সে হয়ত এরই প্রতিদান পেয়েছেন দফায় দফায়। শেষ ভোটযুদ্ধে ত্রিমুখী লড়াইয়ে অবশ্য তিনিই ছিটকে যান। ভোটাররা মুখ ফেরানোর দু’বছর না-হতেই তাঁর প্রিয় খড়্গপুরকে পুরোপুরি ছেড়ে চলে গেলেন চাচা।