মৃত শম্ভুনাথ মান্না। — নিজস্ব চিত্র।
হলদিয়া বন্দরের ভিতর সিগনাল অপারেটিংয়ের সময় কয়লাবোঝাই মালগাড়ির নীচে পড়ে মাথা কাটা গেল এক অপারেটরের। মৃতের নাম শম্ভুনাথ মান্না (৩৩)। তাঁর বাড়ি মহিষাদলের গেঁওখালি এলাকায়। হলদিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে। তবে এটা নিছক দুর্ঘটনা না কি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় হলদিয়া বন্দরের ২ নম্বর বার্থে ওয়াকিটকি নিয়ে সিগনালিংয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন শম্ভু। সেই সময় আচমকাই তাঁর সঙ্গে পাইলটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাটি জানতে পেরে ওই এলাকায় কর্মরত শ্রমিকেরা তাঁর খোঁজ শুরু করেন। তাঁরা আবিষ্কার করেন, কয়লাবোঝাই রেকের তলায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে শম্ভুর মাথা কাটা দেহ। পাশেই পড়ে তাঁর ওয়াকিটকি এবং ফোন। কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল তা স্পষ্ট নয়। ফেসবুকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শম্ভু গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে রাইট’স সংস্থায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
মৃতের সহকর্মীদের দাবি, শম্ভু অত্যন্ত দায়িত্বশীল ছিলেন। বন্দর থেকে মালবাহী ট্রেনগুলি কী ভাবে যাতায়াত করে তাও তাঁর অজানা নয়। কিন্তু গতকাল রাতে তিনি কী ভাবে ট্রেনের নীচে চলে গেলেন তা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না। এ নিয়ে হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রবীনকুমার দাস বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কী ভাবে এমনটা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে আজ সেফটি টিমের সদস্যেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন।’’
মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শিবপ্রসাদ বেরা আবার বলেন, ‘‘ওই যুবকের ওই দিন ছুটি ছিল। কিন্তু বন্ধুর হয়ে কাজ করতে গিয়েই মর্মান্তিক মৃত্যু হল। শম্ভুর একটি বছর দুয়েকের ছেলে রয়েছে।’’