চার-পাঁচ মাস আগেও ঝাড়গ্রাম জেলায় ৭৩টি সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বালি খাদান ছিল। এর মধ্যে তার বেশিরভাগের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রতীকী ছবি।
ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে বেআইনি বালি খাদান চলছেই। ফের গোপীবল্লভপুরে অভিযান চালিয়ে ৯টি বালিবোঝাই লরি ও ৬টি বালি তোলার এক্সক্যাভেটর মেশিন (নিষ্কাশন যন্ত্র) বাজেয়াপ্ত করল ভূমি দফতর। রবিবার রাতের ওই ঘটনায় ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়েছে। ভূমি দফতর সূত্রে খবর, এক সপ্তাহের মধ্যে গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকে বেআইনি ভাবে বালি তোলার অভিযোগে ৩৪ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অনির্বাণ চৌধুরী এবং গোপীবল্লভপুরের এসডিপিও কৃষ্ণগোপাল মিনা দহমুন্ডা বালি খাদানে অভিযান চালান। দেখা যায় সরকার অনুমোদিত বালি খাদানের পরিবর্তে সুবর্ণরেখা নদীর অন্য জায়গায় বালি তোলা হচ্ছে। তারপরেই বালি বোঝাই লরি এবং বালি তোলার বাজেয়াপ্ত করা হয়। গোপীবল্লভপুর ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে বালি তোলার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে আমরা ১৫টি গাড়িকে আটক করেছি। ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার গোপীবল্লভপুরের আঠাঙ্গী গ্রামে সুবর্ণরেখা নদী পাড়ে অভিযান চালিয়ে ১০টি বালি তোলার মেশিন ও ৯টি বালিবোঝাই লরি হাতেনাতে ধরেছিল ভূমি দফতর। তখন ১৯ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেছিল। ভূমি দফতর সূত্রে খবর, চার-পাঁচ মাস আগেও ঝাড়গ্রাম জেলায় ৭৩টি সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বালি খাদান ছিল। এর মধ্যে তার বেশিরভাগের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭। এরমধ্যে গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকে ১৬টি, গোপীবল্লভপুর ২ (বেলিয়াবেড়া) ব্লকে ৭টি, লালগড় ব্লকে ১টি, সাঁকরাইল ব্লকে ২টি খাদান রয়েছে। অভিযোগ, সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বালি খাদান কমে যাওয়ার সুযোগে অনুমোদনহীন খাদান থেকে গোপনে বালি তোলা বেড়েছে।