স্থানীয় একটি ক্লাবের সামনে থেকে তরুণীকে উদ্ধার। — নিজস্ব চিত্র।
মেদিনীপুরের ফুলপাহাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুষ্কৃতী হামলার মুখে পড়লেন চিকিৎসক এবং তাঁর নার্সিং পড়ুয়া বান্ধবী। অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। বন্ধুকে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের শিকার হতে দেখে আতঙ্কে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। ঘণ্টা ছয়েক চিরুনি তল্লাশি চালানো হয় তাঁর খোঁজে। রাতে গ্রামবাসীদের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুরে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুরের এক চিকিৎসক তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন শহর সংলগ্ন ফুলপাহাড়ি ড্যামে। তাঁদের দাবি, সন্ধ্যার মুখে হঠাৎ মোটরবাইকে করে মুখে গামছা বাঁধা দু’জন হাজির হয় তাঁদের সামনে। অভিযোগ, চিকিৎসকের থেকে কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল এবং টাকা। তাঁকে মারধর করা হয়। এই সময় ভয় পেয়ে পালিয়ে যান ওই চিকিৎসকের বান্ধবী। পরে এমনটাই তিনি জানিয়েছেন পুলিশকে। চিকিৎসককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। এর পর ওই তরুণীর সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পরে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ উদ্ধার করা হয় ওই তরুণীকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী একটি ক্লাবের সামনে গিয়ে সাহায্য চান। তখন খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ফুলপাহাড়ি ড্যামে বাড়ছে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা। তারাই এই কাজ করেছে বলে একাংশের দাবি। ওই এলাকায় পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন তাঁরা। ডেপুটি পুলিশ সুপার ওয়াই কাদেরি বলেন, ‘‘কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’