— প্রতীকী চিত্র।
খেলতে-খেলতে আচমকা মুখের ভিতর তালু ফুঁড়ে রড ঢুকে গিয়েছিল বছর তিনেকের শিশুর। মঙ্গলবার জেলার মেডিক্যাল কলেজে সময়মতো দ্রুত অস্ত্রোপচার করে সেই রড বের করা হয়েছে। এতেই প্রাণ রক্ষা পেয়েছে শিশুর।
তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ শিবশঙ্কর দে বলেন,‘‘তিন বছরের শিশুর মুখের ভিতরের উপরিভাগে তালুতে রডটি প্রায় ১০ সেন্টিমিটার ঢুকে আটকে গিয়েছিল। টেনে বের করা সম্ভব ছিল না। তাই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারে সাফল্যের সঙ্গে লোহার রড বের করা গিয়েছে। শিশুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। একটি জেলার হাসপাতালের ক্ষেত্রে এটা খুবই বড় সাফল্য।’’
হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকার বাড়উত্তরহিংলি গ্রামের বাসিন্দা দীপক দাসের তিন বছরের মেয়ে মৌমিতা। পরিবার সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে একটি লোহার রড নিয়ে খেলছিল মৌমিতা। খেলাচ্ছলে বার বার রডটি মুখেও ঢোকাচ্ছিল। আচমকা সেই অবস্থায় সে পড়ে যায়। তখনই রডটি তার মুখের ভিতর তালুতে গেঁথে যায়। প্রবল রক্তক্ষরণ হতে থাকে। দ্রুত তাকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে রেফার করে দেওয়া হয় তমলুক মেডিক্যাল কলেজে।
সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত অস্থি বিশেষজ্ঞ শিবশঙ্কর দে অস্ত্রোচারের সিদ্ধান্ত নেন। সঙ্গে ছিলেন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ তিতাস কর, চিকিৎসক বিদিশা মুখোপাধ্যায় ও সৈকত ভট্টাচার্য। প্রায় দেড় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে লোহার রড বের করা হয়। মৌমিতা এখন ভাল আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।