পড়াশোনা-টিভি, দুটোই ছিল নৌরিনের রুটিনে

শুধু চিকিৎসক হওয়া নয়। নৌরিন চান গরিব মানুষের ভাল করতে। একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে অন্যদের পাশে দাঁড়াতে। বাবা মহকুমা হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ শেখ মফিজুল হোসেন, ছোটবেলা থেকে সেই আদর্শের গল্পই শুনিয়েছেন নৌরিনকে।

Advertisement

শান্তনু বেরা

কাঁথি শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ১৪:০০
Share:

লক্ষ্যপূরণ: স্কুলে অন্যদের সঙ্গে নৌরিন। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্য রাজনীতি হোক বা টেনিস র‌্যাকেটের কেরামতি— সব কিছুতেই নজর নৌরিনের। তার প্রতিদিনের তালিকায় বাদ প়ড়ে না টেলি-ধারাবাহিকও। এ সব কিছু সামলে দিনের ৮-১০ ঘণ্টা পড়াশোনাটাও চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে অষ্টম আর মেয়েদের মধ্যে দ্বিতীয় নৌরিন হোসেন কাঁথি হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ৯৬.৪ শতাংশ (৪৮২) নম্বর তাঁর ঝুলিতে। মার্কশিট হাতে পেয়ে মৃদু হেসে নৌরিন বলেছেন, ‘‘যেমনটা ছোটবেলা থেকে চেয়েছি, চিকিৎসক হব, বাবার মতো। তেমনই চাই। ফল ভাল হয়েছে। আশা করি এরপর আরও ভালও হবে।’’

Advertisement

শুধু চিকিৎসক হওয়া নয়। নৌরিন চান গরিব মানুষের ভাল করতে। একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে অন্যদের পাশে দাঁড়াতে। বাবা মহকুমা হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ শেখ মফিজুল হোসেন, ছোটবেলা থেকে সেই আদর্শের গল্পই শুনিয়েছেন নৌরিনকে। সে কথা তাই মনের মধ্যে গেঁথে রেখেছেন তিনি। নৌরিনের দাদা নাদিমও মেডিক্যাল পড়ছেন। মা নুরজাহান বেগম বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েরা বড় হলেই আমি খুশি।’’ মেয়ে সম্পর্কে তিনি জানালেন, ‘‘নৌরিন ছবি আঁকতে খুব ভালবাসে। কিছু কিছু ধারাবাহিকও দেখে। কখনও বকেছি। কিন্তু টিভি দেখলেও পড়াশোনায় কোনও দিন ফাঁকি দেয়নি।’’ হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছন্দা শাসমল বলেন, “নৌরীন আধুনিক মানসিকতার মেয়ে। বইয়ের বাইরেও ওর একটা জগৎ আছে। আর ওর সবচেয়ে বড় গুণ, হাসি। যে কোনও বিষয়ই হাসিমুখে সামলে দিতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement