মেদিনীপুরে জুন। নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের। অনেক ক্ষেত্রেই পাওয়া যাচ্ছে না অ্যাম্বুল্যান্স। পেলেও অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা যে ভাড়া হাঁকছেন, তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই একটা বড় অংশের মানুষের। এই সমস্যা দূর করতে এগিয়ে এল মেদিনীপুর শহরের তৃণমূল পরিচালিত টোটো ইউনিয়ন। করোনা আক্রান্তদের পরিষেবা দিতে পিপিই কিট পরে তৈরি টোটো চালকেরা।
মেদিনীপুর শহরের টোটো ইউনিয়নের নেতা বুদ্ধ মহাপাত্র জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি রয়েছে ৫টি টোটো। শুক্রবার সকালে গোলকুয়াচক এলাকায় টোটো-অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার সূচনা করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া। টোটো চালকদের এই উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত জুন বলেছেন, ‘‘শহরের টোটো ইউনিয়ন যে ভাবে এগিয়ে এসেছে, তাতে শহরের মানুষের কিছুটা উপকার হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সবারই তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসা উচিত। তা হলেই করোনা থেকে সমাজকে মুক্ত করা যাবে।’’
করোনা বিধি মেনে এই ৫টি টোটো শহরের ২৫টি ওয়ার্ডে পরিষেবা দেবে। এ জন্য ৪টি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। এই পরিষেবা পেতে মেদিনীপুর শহরবাসীর কোনও টাকা লাগবে না।