ঘটনাস্থলে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
চন্দ্রকোনায় তিন আদিবাসী মহিলাকে ডাইনি অপবাদে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। কয়েক মাস আগেই ডাইনি অপবাদ দিয়ে এক তরুণীকে মারধর করে গ্রামছাড়া করার অভিযোগে তেতে উঠেছিল চন্দ্রকোনার নীলগঞ্জ। নতুন ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোনা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মল্লেশ্বরপুরে।
শনিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় গিয়ে নির্যাতিত ওই তিন মহিলার সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। ঘাটালের মহকুমা পুলিশ অফিসার অগ্নীশ্বর চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ পেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই মল্লেশ্বরপুরের বাসিন্দা এক মহিলা, তাঁর শাশুড়ি এবং জাকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে অত্যাচার শুরু হয়েছিল। ওই তিনজনকে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন গ্রামের মাতব্বরেরা। একঘরে করেও রাখা হয়। প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই তিন মহিলা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, শনিবার সকালে গ্রামেরই কয়েকজন বাসিন্দা তাঁদের বাড়িতে এসে চড়াও হয়। হাতে ছিল লাঠি-লোহার রড। সেই দিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় পোশাক। আহত হওয়ার পরে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও দেওয়া বাধা দেওয়া হয়। বহু চেষ্টার পরে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। আক্রান্ত মহিলাদের দাবি, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই ডাইনি অপবাদ দেওয়া হয়েছে।