বাজি তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হল দুই কিশোর-সহ তিন জন। বুধবার দুপুরে এগরা থানার কামারডিহা গ্রামের এই ঘটনায় জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে এগরা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণে বাড়িটি পুরো পুড়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশেপাশের কয়েকটি বাড়িও।
পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের নাম শোভনসুন্দর দাস, গোকুলচাঁদ মান্না ও বাড়ির মালিক গোপাল দাস। তিনজনেরই বাড়ি কামারদডিহা গ্রামে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশসুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘বাড়ির সংলগ্ন একটি গোয়ালঘরে আতসবাজি তৈরির সময় আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। জখম তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে এগরা-১ ব্লকের ছত্রি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার কামারডিহা গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দা গোপাল দাস বাড়ির সংলগ্ন ঘরে বেআইনিভাবে বাজির কারখানা চালাতেন। ওই গ্রামে প্রায় ২০-২৫ টি পরিবার গোপনে বাজি তৈরির কাজে যুক্ত বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের অনেক স্কুল পড়ুয়া কিশোরকে বাজি কারিগর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বুধবার সকালে থেকে গোপালবাবুর বাড়ি থেকে প্রবল শব্দে কেঁপে ওঠে
গোটা এলাকা।
এরপরই স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে দেখেন ঘরের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছে দুই কিশোর এবং বাড়ি মালিক গোপাল দাস। আহতদের উদ্ধার করে এগরা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে দুই কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের সবাইকে পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়া হয়।