শাসক দলের ছাত্রনেতার হাতে শিক্ষিকা নিগ্রহের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেশপুর কলেজে এসে তদন্ত শুরু করলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সোমবার কলেজে এসেছিল উচ্চশিক্ষা দফতর এক প্রতিনিধি দল এবং তৃণমূলের কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র প্রতিনিধিরাও।
তিন দলের সদস্যরাই এ দিন অধ্যক্ষ দীপক ভুঁইয়া, অন্য শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন । ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা করেন। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক , অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতা মানস ঘোষের সঙ্গেও তাঁদের কথা হয়। কিন্তু এ দিনও কলেজে আসেননি নিগৃহীতা শিক্ষিকা সুপর্ণা সাধু।
ওয়েবকুপা-র দলের নেতৃত্বে থাকা সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু বলেন, “আমাদের সকলেরই দায়িত্ব শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ বজার রাখা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর জন্য সব রকম চেষ্টা করছেন। অধ্যক্ষ, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের সকলকে অনুরোধ করেছি, শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।’’
এ দিন টিএমসিপি-র জেলা সভানেত্রী দেবলীনা নন্দীও কলেজে যাওয়া বিতর্ক বেধেছে। কারণ, দেবলীনা-অনুগামী হিসেবেই পরিচিত মানস। দেবলীনার অবশ্য বক্তব্য, “ওয়েবকুপা-র সদস্যরা এসেছিলেন। তাই টিএমসিপি-র জেলা প্রতিনিধি হিসেবে আমার আসাটা কর্তব্য ছিল।’’
গত ২৪ অগস্ট রসায়নের শিক্ষিকা সুপর্ণা সাধুকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। তিনি কেন কলেজে আসেননি সেই প্রশ্ন তুলে মানস ও তাঁর দলবল সুপর্ণাদেবীকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। তিনি জ্ঞান হারালে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তারপর আতঙ্কে আর কলেজ যাননি সুপর্ণাদেবী। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তকারী দল কেশপুর কলেজে গিয়েছিল। নিরপেক্ষ তদন্তই হবে।’’ টিএমসিপি নেতা মানস অবশ্য গোড়া থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘তদন্তকারী দলের প্রতিনিধিরা যা যা জানতে চেয়েছেন জানিয়েছি। ওই শিক্ষিকাকে তো আমরাই হাসপাতালে নিয়ে যাই!”