Murder

Murder: নারায়ণগড়ে তৃণমূলকর্মী খুনের প্রায় আট মাস পর গ্রেফতার নিহতের তিন বন্ধু

ছেলের বন্ধুদের গ্রেফতারির পর শৌভিকের মা সুমিতা দোলুই নিজের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নারায়ণগড় শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২১ ২১:৫৭
Share:

মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলকর্মীকে খুনের ঘটনায় তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল নারায়ণগড় থানার পুলিশ। মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে ধৃতদের মধ্যে এক জনের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে দাবি করেছে বিজেপি। তবে বিজেপি-র এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল।

পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলকর্মী শৌভিক দোলুইকে গুলি করে খুনের ঘটনায় অমিত মণ্ডল, সীতারাম মুর্মু এবং সন্দীপ মেটিয়া নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা সকলেই শৌভিকের বন্ধু বলে পরিচিত। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একটি খুনের ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

Advertisement

ছেলের বন্ধুদের গ্রেফতারির পর শৌভিকের মা সুমিতা দোলুই নিজের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘ছেলেকে যাঁরা খুন করেছে, তাঁদের ফাঁসি হোক।’’ তবে ধৃত সীতারামের দাবি, মিথ্যে মামলায় তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় থানার মকরামপুরের অভিরামপুর গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তৃণমূলকর্মী শৌভিক দোলুই (২৪)। ওই রাতে চার তৃণমূলকর্মীর উপর বোমাবাজি এবং গুলিচালনার অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে এক তৃণমূলকর্মীর পিঠে গুলি লাগে। বোমায় আঘাতে আহত হয়েছিলেন সীতারাম এবং অমিত। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শৌভিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, আহতদের উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের।

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি, এই খুনের অভিযুক্তরাও তৃণমূলকর্মী। যদিও শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্ব তা মানতে নারাজ। তৃণমূল ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ্রের দাবি, ‘‘এই খুনের ঘটনায় তৃণমূল কোনও ভাবে জড়িত নয়। পুলিশ তদন্ত করেছে। তিন জনকে গ্রেফতারও করেছে। এটি আইনশৃঙ্খলার বিষয়।’’ তবে এ নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি-র মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারির দাবি, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। নিজেদের মধ্যেই গন্ডগোল হয়েছিল। পুলিশের তদন্তেও সেটাই উঠে এল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement