গাড়ি ছিনতাইয়ের উদ্দেশে চালককে খুনের দায়ে পাঁচ জনের দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। ঘটনার ১৪ বছর পর এই রায় দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (দ্বিতীয়) কুমকুম সিংহ। ২০০১ সালে দিঘায় সুশান্ত আদক নামে ওই গাড়ির চালককে খুনের দায়ে আসিক আরাফত, সঞ্জয় সেন, অমিত পট্টনায়েক, বিদ্যুৎ ধর, কমল নায়েক নামে পাঁচ জনের শাস্তি হল মঙ্গলবার।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত আদক ওই গ্রামেই একটি সংস্থার হয়ে ভাড়ার গাড়ি চালাতেন। সে সময়ই নতুন কেনা একটি গাড়ি ছিনতাইয়ের ছক কষে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার নারান্দা এলাকার বাসিন্দা আসিফ আরাফত, সঞ্জয় সেন, অমিত পট্টনায়েক ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনির বাসিন্দা কমল নায়েক, দাসপুর থানার দুবরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যুৎ ধর। এরা প্রত্যেকেই পেশায় গাড়ির চালক।
কর্মসূত্রে পাঁশকুড়ায় থাকা কমল নায়েক দিঘায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য ২০০১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ওই গাড়িটি ভাড়া করে। ওই সন্ধ্যায় গাড়ির চালক সুশান্তকে সঙ্গে নিয়ে ওল্ড দিঘার একটি লজে ওঠে।
পরদিন সকালে দিঘার অ্যাকোরিয়াম জঙ্গলে গিয়ে মদ খাওয়াতে চাইলেও সুশান্তবাবু তাতে রাজি হননি। ফলে আসিক ও বিদ্যুৎ মিলে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে তাকে। পরে মৃতদেহে মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয় যাতে চিনতে না পারা যায়।
এরপরই ওই পাঁচজন গাড়ি নিয়ে চম্পট দিচ্ছিল। এ দিকে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে এক পর্যটকরাথানায় খবর দেন। বেলদা থানার পুলিশ ওই গাড়ি-সহ আটক করে পাঁচ জনকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তবাবুর ড্রাইভিং লাইসেন্স। পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন, প্রমাণ লোপাট-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করে দিঘা থানার পুলিশ। আদালতে জবানবন্দি দেয় বিদ্যুৎ ধর।