স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মেধা-তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বারংবার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সোমবার জানান, উচ্চ প্রাথমিকের মেধা-তালিকা নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের প্রথমে হাই কোর্টে পেশ করা হবে। আসন-সংখ্যা ‘আপডেট’ বা হালতামামির পরে যদি নিয়োগ করতে হয়, সে-ক্ষেত্রে কি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও নিয়োগে আবার কিছুটা দেরি হবে? এসএসসি-প্রধান বলেন, “কোর্ট যা নির্দেশ দেবে, সেই অনুসারেই কাজ হবে।”
সিদ্ধার্থ এ দিন জানান, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ। এ বার মেধা-তালিকা তৈরির সময়ে ঠিকঠাক নম্বর আপলোড হচ্ছে কি না, দু’বার চেক লিস্টের মাধ্যমে সেটা দেখে নেওয়া হচ্ছে। ‘‘পুরো প্রক্রিয়ায় তাই সময় লাগছে। আমরা চাই না, হাই কোর্টে মেধা-তালিকা জমা দেওয়ার পরে আর কোনও প্রশ্ন উঠুক,” বলেন সিদ্ধার্থ।
মেধা-তালিকা প্রকাশ করতে ফের দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “আট বছর ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে আছে। মেধা-তালিকা প্রকাশে বার বার দেরি করছে কমিশন। ধৈর্যের বাঁধ আবার ভাঙছে কর্মপ্রার্থীদের।”
সুশান্ত জানান, নিয়োগে অনিয়মের জেরে ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর যখন তাঁদের মেধা-বাতিল হয়, সেই সময় হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ২০২১ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন করে ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখের পরে প্রায় দেড় বছর কেটে গিয়েছে। উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, আদালত বলেছিল, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরে মেধা-তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ হয়ে গেল। এখনও কমিশন আদালতে তালিকা জমা দিতে পারল না।
এসএসসি-র দাবি, সদ্য কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার সুপারিশপত্র দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। এ বার উচ্চ প্রাথমিকের মেধা-তালিকার কাজ শুরু হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, উচ্চ প্রাথমিকের যে-সব চাকরিপ্রার্থী আবার মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে বসে আসন আপডেট করে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন, তাঁদের কী হবে? ওই চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, গত আট বছরের গেজেটের নিয়ম মেনে উচ্চ প্রাথমিকে শূন্য পদের হালতামামি হচ্ছে না। তাই তাঁরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি। সেই জন্য আসন হালতামামির পরে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।