গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আবারও ভেস্তে গেল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক। বাদ সাধল জুনিয়র ডাক্তারদের একটি শর্ত! প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষার পর নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে স্বাস্থ্যভবনে ফিরে এলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। জানিয়ে দিলেন, তাঁদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও ৩৩ দিন পথে থাকতে পারেন তাঁরা। অধরাই রয়ে গেল সমাধানসূত্র।
আশা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গল, বুধের পর বৃহস্পতিতেও ভেস্তে গেল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের সম্ভাবনা। মঙ্গলবার নবান্নের তরফে মেল করে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, সেই মেলের বয়ান ‘অবমাননাকর’। বুধবার আবার আসে মেল। আন্দোলনকারীদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের চারটি শর্ত মানতে হবে, যাঁর মধ্যে অন্যতম ছিল, মুখ্যমন্ত্রীকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে। এর পর বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ আবার মেল পাঠান আন্দোলনকারীদের। মেলে জানিয়ে দেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীও। তবে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার চেয়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা যে শর্ত দিয়েছিলেন, তা মানা হবে না বলে স্পষ্ট করে দেন তিনি। আর সেই নিয়েই শুরু হয় জটিলতা। জুনিয়র ডাক্তারেরা বৈঠকে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিলেও তার সরাসরি সম্প্রচারের শর্ত থেকে সরেননি।
এই আবহেই বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন জুনিয়র ডাক্তারদের ৩২ জনের প্রতিনিধি দল। আন্দোলনকারীরা যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেন নিজেরাই। যদিও নবান্নের তরফে ১৫ জনের দলকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু শেষমেশ নবান্নে পৌঁছন ৩২ জন আন্দোলনকারী। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছিলেন ভিডিয়োগ্রাফার। সকলকেই নবান্নের সভাগৃহে বৈঠকে প্রবেশের অনুমতিও দেওয়া হয়। তত ক্ষণে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে সেখানে অপেক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভাগৃহে আর প্রবেশ করেননি চিকিৎসকেরা। বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে শুরু হয় টানাপড়েন। আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, তাঁদের এই শর্ত না মানলে বৈঠকে প্রবেশ করবেন না। একে একে এসে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব মনোজ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ছিলেন অনড়। এই আবহে মুখ্যসচিব এবং রাজ্যপুলিশের ডিজি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, এই শর্ত মানছে না রাজ্য। সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতাও। সেখানে জানিয়ে দেন, চেয়ার তিনি ছাড়তে পারেন। কিন্তু কেউ কেউ বিচার চান না। চান ক্ষমতার চেয়ার। তিন দিনে সমস্যার সমাধান করতে না পারার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন। এর পরেই বেরিয়ে যান নবান্ন থেকে।
নবান্নে দাঁড়িয়েই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা দাবি করেন, চেয়ারে ভরসা রেখেই এসেছিলেন, তাই চেয়ার তাঁরা চান না। চান উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। চান নিজেদের বোনের বিচার। সে কারণেই চলবে তাঁদের অবস্থান। এর পর নবান্ন থেকে বেরিয়ে রওনা হন স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছে তাঁরা জানিয়ে দেন, ৩৩ দিন পথে থেকেছেন, প্রয়োজনে আরও ৩৩ দিন পথে থাকবেন তাঁরা। তবু বিচারের দাবি থেকে সরবেন না।
বৈঠকের ডাক
মঙ্গল এবং বুধবারের পর বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তারদের আবার বৈঠকে ডাকে নবান্ন। বিকেল ৫টায় নবান্ন সভাগৃহে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেলে জানান, বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসকদের ১৫ জন প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন। তবে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হবে না বলে জানিয়ে দেয় নবান্ন। তার পরিবর্তে হবে ভিডিয়ো রেকর্ডিং। আন্দোলনকারীরা বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার করার শর্ত দিয়েছিলেন। এর পরেই আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত নেন যে, ১৫ নয়, ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়েই তাঁরা নবান্নে যাবেন। এই সিদ্ধান্তের কথা ইমেল মারফত মুখ্যসচিবকে জানানো হয়।
১৫ নয়, ৩০
নবান্নের তরফে ১৫ জনকে বৈঠকে যোগ দিতে বলা হলেও ৩০ জন আন্দোলনকারী নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন। তার আগে সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে বার্তা এসেছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বেরোচ্ছি। আমাদের বক্তব্য ইমেল মারফত নবান্নে জানিয়েছি। আমাদের ৩০ জন প্রতিনিধি নবান্নে যাচ্ছেন। সরাসরি সম্প্রচারের দাবিও থাকছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে ২৬টি মেডিক্যাল কলেজ। তাই প্রতিনিধির সংখ্যা ৩০ জনের কম হওয়া সম্ভব নয়।’’ ৩০ জনের মধ্যে চার জন ছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের। যদিও শেষ পর্যন্ত নবান্নে যান ৩২ জন প্রতিনিধির একটি দল। তাঁদের মধ্যে দু’জন ভিডিয়োগ্রাফার। তাঁদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও তার পরেও কাটেনি জট।
সরাসরি সম্প্রচার
স্বাস্থ্য ভবন থেকে নবান্নে পৌঁছয় ৩২ জন আন্দোলনকারীর একটি দল। বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করার দাবিতে তাঁরা ছিলেন অনড়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এর পর একে একে নেমে এসে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা। তার পরেও নিজেদের দাবি থেকে সরেননি আন্দোলনকারীরা। এর পর নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব। তাঁরা জানান, সরকার আন্দোলনকারীদের এই দাবিতে রাজি নয়। মুখ্যসচিব জানান, বিকেল ৫টা থেকে নবান্নের সভাঘরে অপেক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। জুনিয়র ডাক্তারেরা নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছু সময় পরে পৌঁছেছেন। তাঁদের ১৫ জন প্রতিনিধিকে আসতে বলা হয়েছিল। এসেছেন ৩২ জন। তার পরেও তাঁদের সকলকে নবান্নে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। তবে একটি বিষয়ে সমস্যা রয়েছে। তাঁরা চাইছেন, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার, যার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছে না সরকার। রাজীব বলেন, ‘‘যে কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হয় না। এ ক্ষেত্রেও তার কোনও প্রয়োজনীয়তা আমি দেখতে পাচ্ছি না। ওঁদের অনেক বার বোঝানো হয়েছে। ১৫ জনকে আসতে বলা হয়েছিল। ৩২ জন এসেছেন। আমাদের খোলা মনে আলোচনার সদিচ্ছা রয়েছে বলেই অনুমতি দিয়েছি। আমাদের উচ্চপদস্থ কর্তারা কথা বলেছেন। কিন্তু ওঁরা রাজি হননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিকেল ৫টা থেকে এটার জন্য অপেক্ষা করছেন।’’
চেয়ার চায়
নবান্নের সভাঘরে হওয়ার কথা ছিল বৈঠক। সেখানে প্রায় দু’ঘণ্টা বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসকেরা সরাসরি সম্প্রচারের দাবিতে অনড় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, তিনি পদত্যাগ করতে রাজি আছেন। কিন্তু কেউ কেউ বিচার চান না। চান ক্ষমতার চেয়ার। মমতার কথায়, ‘‘তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যাঁরা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না, তাঁদের আমি ক্ষমা করলাম। আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমার সরকারকে অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি, কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রং বোঝেনি। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু ওরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়। আশা করি মানুষ সেটা বুঝবেন।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময় পেরিয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রাজ্য পদক্ষেপ করলে তারা বাধা দেবে না। তবে তিনি কোনও পদক্ষেপ করবেন না। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বহু মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাত লক্ষ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাঁর হৃদয় কাঁদছে। এর পরেও যদি জুনিয়র ডাক্তারেরা বৃহস্পতিবারই বৈঠক করতে চান, তবে মুখ্যসচিব এবং নবান্নের অন্যান্য আধিকারিক যেন বৈঠক করেন এবং তাঁদের বক্তব্য শোনেন। তবে তিনি আপাতত আর আলোচনায় থাকছেন না।
চেয়ার নয়, বিচার
আন্দোলনকারীরা জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর ‘সদিচ্ছা’ রয়েছে। তেমন তাঁদেরও ‘সদিচ্ছা’ রয়েছে। তবে তাঁরা নিজেদের দাবিতেও অনড়। নবান্নে বৈঠকের কেন সরাসরি সম্প্রচার হবে না, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তাঁরা। তার পরেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের অবস্থান জারি থাকবে। তাঁরা এ-ও দাবি করেন যে, চেয়ারের দাবিতে তাঁরা নবান্নে যাননি। তাঁদের কথায়, ‘‘আমাদের বোন ও তাঁর পরিবারের জন্য গিয়েছিলাম। আবার যে কোনও জায়গায় আলোচনা ডাকলে, আমরা যেতে প্রস্তুত। এখানে ইগোর লড়াই নয়, বিচারের লড়াই।’’ তাঁরা এ-ও দাবি করেন যে, বাইরের কারও কথায় তাঁরা ‘চালিত’ হচ্ছেন না। বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্যের কিসের এত ‘ভয়’, সেই প্রশ্নও তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের কথায়, “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কিসের ভয়? আমরা ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। যাতে কর্মস্থলে নিরাপত্তা থাকে এবং কর্মস্থলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকে, সে নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম।’’ স্বাস্থ্য ভবনে ফিরে এসে আবার সাংবাদিক বৈঠক করেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা। হুঁশিয়ারির সুরে জানান, তাঁরা দরকারে আরও ৩৩ দিন রাস্তায় পড়ে থাকবেন। তাঁদের বিচার চাই, চেয়ার নয়। তাঁরা এ-ও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে ভরসা রেখেই গিয়েছিলেন।
জুনিয়রদের পাশে
জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে রয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও রকম শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হলে কর্মবিরতির পথে যাবেন বলে জানিয়ে দেন সিনিয়র ডাক্তারেরাও। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সাংবাদিক বৈঠক করে ১০টি চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যেরা জানান, প্রয়োজনে সরকারি এবং বেসরকারি দুই হাসপাতালেই কর্মবিরতি শুরু করবেন তাঁরা। আন্দোলনস্থলে দাঁড়িয়ে তাঁদের সমর্থনের কথা জানিয়ে দেয় সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন। মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক বিপ্লব চন্দ বলেন, ‘‘আমরা সিনিয়র ডাক্তারেরা কাজ করছি। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে যতটা সম্ভব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। সরকারের কাছে আবেদন করছি, সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারদের এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না, যাতে মানুষের স্বাস্থ্য প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে যায়।’’ তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি রয়েছে। এই দু্র্নীতি দমনের জন্য তাঁরা আবেদন করছেন।
রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য ভবনের
কোন কোন জুনিয়র ডাক্তার কাজে যোগ দিলেন, এ বার খতিয়ে দেখবে স্বাস্থ্য ভবন। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজগুলির কাছে কাজে যোগ দেওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের তালিকা চেয়েছে রাজ্য। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রাজ্যের সব হাসপাতালকে জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশ পাঠিয়ে বলা হয়, দুপুর ২টোর মধ্যে জমা দিতে হবে ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কাজে যোগ দেননি কেউ। এই আবহেই এ বার স্বাস্থ্য ভবন জানিয়ে দিল, কারা কাজে আসছেন, অবিলম্বে জমা দিতে হবে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট। রাজ্যের সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ৯ সেপ্টেম্বরের নির্দেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বলা হয়েছে, দুপুরের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ফর্মে ওই পরিসংখ্যান নথিভুক্ত করতে হবে। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের দাবি, এটি একটি নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া মাত্র। এর সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই।