প্রতীকী ছবি
এত দিন সুতো বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এ বার আতসকাচের তলায় চলে এল কলকাতার বাকি মেডিক্যাল কলেজগুলিও। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, এনআরএসের পরে কলকাতা মেডিক্যাল, এসএসকেএম, আরজি কর, সাগর দত্ত এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অস্ত্রোপচারে ব্যবহার্য সুতোর নমুনা সংগ্রহ করেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। এনআরএসের মতো সুতোর গুণমান যাচাইয়ে সেই সব নমুনাও হিমাচল প্রদেশের সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি বাদুড়িয়ার বাসিন্দা লিভিয়া পরভিনের সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যুর পরে এনআরএসের শিশু শল্য বিভাগে অস্ত্রোপচারে নিম্ন মানের সুতো ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, শিশু শল্য বিভাগের প্রধান কৌশিক সাহা হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ তথা সুপার সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে যে-চিঠি লিখেছেন, তাতে রোগীর পরিজনদের অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দেওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পরে ক্ষতস্থান থেকে সংক্রমণের ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে। মৃত্যু বাড়ছে নবজাতকের। কখনও কৃত্রিম ভাবে জুড়ে দেওয়া অঙ্গের সেলাই খুলে তো কখনও পেটের সামনের দিকের জুড়ে দেওয়া অংশ খুলে গিয়ে বিপত্তি ঘটছে। ক্ষতস্থান এমন ভাবে সংক্রমিত হচ্ছে যে, নবজাতককে সুস্থ করে তোলার মতো পরিস্থিতি থাকছে না।
শিশু শল্য বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহার্য সুতোর গুণমান যাচাই করতে বলেছেন বিভাগীয় প্রধান। স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, একই সুতো এনআরএসেরই জেনারেল সার্জারি, ইউরোলজি, সিটিভিএসে ব্যবহৃত হয়েছে। যে-তিনটি সংস্থার সুতোর নমুনা সংগৃহীত হয়েছে, তাদের সামগ্রী রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালেও সরবরাহ করা হয়। তা হলে শুধু নীলরতনের শিশু শল্য বিভাগে এমনটা ঘটল কী ভাবে?
এই সব প্রশ্ন ওঠায় বাকি মেডিক্যাল কলেজগুলি থেকেও নমুনা সংগ্রহে তৎপর হয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল। স্বাস্থ্যকর্তাদের বক্তব্য, অন্য পাঁচটি মেডিক্যালে কী ধরনের সামগ্রী দেওয়া হয়েছে, তা যাচাই করা জরুরি।