স্কুল সার্ভিসের শিক্ষক নিয়োগের টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট পাশ করা হয়ে গিয়েছে ২০১২ সালেই। প্রায় চার বছর হতে চললেও চাকরি হয়নি ১ লক্ষেরও বেশি পাশ করা প্রার্থীদের। তার মধ্যেই ফের নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের নিয়োগ হয়নি। এরই প্রতিবাদে পথে নামলেন কয়েকশো প্রার্থী। বুধবার দুপুরে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। কলকাতা পুরসভার কাছে এবং ধর্মতলার কাছে পুলিশের সঙ্গে কিছুটা ধস্তাধস্তিও হয়। নিয়োগের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সদর্থক সাড়া না পাওয়া পর্যন্ত ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান চলবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১২ সালে তাঁরা টেট পরীক্ষা পাশ করেন। তারপরে ২০১৩ সালে নিয়োগ হয়। কিন্তু ৪৬ হাজারের বেশি শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ হয়েছিল ৩৫ হাজার। তারপরে ২০১৫ সালে তাঁদের টেট পাশ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। যার বৈধতা রয়েছে ২০১৮ পর্যন্ত। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে অনেকেরই নূন্যতম বয়সসীমা পার হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে ভোটের আগে নিয়োগ না হলে তাঁরা অনেকেই চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে।
এর মধ্যে ২০১৫ সালের অগস্টে উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়। তারও রেজাল্ট কবে বের হবে তা নিয়েই অনিশ্চয়তায় প্রার্থীরা। তার আগেই ২০১২ সালের টেট পাশদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করানোর দাবি আন্দোলনকারীদের।
এই দাবি নিয়েই কয়েক মাস আগে একটি ফেসবুক পেজ খোলেন কয়েকজন চাকরী প্রার্থী। সেখানে সদস্য হন প্রায় তিরিশ হাজারের বেশি প্রার্থীরা। তার মাধ্যমেই আন্দোলনের ডাক দেন প্রার্থীরা। সেখানে সংগঠিত করা কর্মসূচি অনুযায়ীই এ দিন কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় আসেন চাকরী প্রার্থীরা। ডোরিনা ক্রসিংয়ে বসে পড়েন তাঁরা। এরপরে পুলিশ তাঁদের তুলতে গেলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সঙ্গে সাময়িক ধস্তাধস্তি হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুপ মন্ডল নামের এক উদ্যোক্তা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সরকারের তরফ থেকে কোনও সদর্থক উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা ধর্মতলায় অবস্থানে থাকবেন। প্রয়োজনে অনশনে বসবেন বলেও জানান তাঁরা।