Maoist Leader

Maoist leader: তদন্তে গাফিলতি, ১১ বছর পর বেকসুর খালাস মাওবাদী নেতা তেলুগু দীপক

২০১০ সালের ২ মার্চ দক্ষিণ শহরতলির সরশুনা থেকে তেলুগু দীপককে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

এগারো বছর আগে মাওবাদী নেতা বেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি ওরফে তেলুগু দীপককে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ১১ বছর ধরে জেলবন্দি থাকার পরে সেই মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন দীপক। শুক্রবার এই রায় ঘোষণার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক রাজেশ তামাংয়ের পর্যবেক্ষণ, মামলার তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত চক্রবর্তী এবং সিআইডি তরফে মামলার অভিযোগকারী অফিসার অর্ধেন্দুশেখর পাহাড়ির তদন্তে গাফিলতি ছিল। সিআইডি এই মামলার সাক্ষ্য ও প্রমাণ যথাযথ ভাবে বেশ করতে পারেননি।

Advertisement

আদালত সূত্রের খবর, দীপকের বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। সেগুলির এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। তাই এই মামলায় মুক্তি পেলেও এই মাওবাদী নেতাকে এখনও জেলে থাকতে হবে।

২০১০ সালের ২ মার্চ দক্ষিণ শহরতলির সরশুনা থেকে তেলুগু দীপককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করে নন্দীগ্রাম থেকে একটি এ কে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করে সিআইডি। তার পরে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, বেআইনি অস্ত্র ব্যবহার, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, নাশকতায় যুক্ত-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারীরা। তবে বিচারকের পর্যবেক্ষণ, রাইফেল বাজেয়াপ্ত করার পর তদন্তকারী অফিসারের যে যে সব আইনি পদ্ধতি পালনের কথা তা সিআইডির আধিকারিকেরা করেননি। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র আইনে আনা অভিযোগও প্রমাণ হয়নি। আদালত সূত্রের দাবি, মামলার সওয়াল-জবাব পর্বে সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ ও প্রশান্ত মজুমদার অভিযুক্তের দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তদন্তে ফাঁক থাকায় সেই সওয়ালও
জোরালো হয়নি।

Advertisement

তবে নিম্ন আদালতের রায়ে হাল ছেড়ে দিতে নারাজ সরকার পক্ষ। সরকারি কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, সিআইডির কর্তাদের সঙ্গে
আলোচনা করে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যেতে পারে
সরকার পক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement