coronavirus

সংক্রমণ সত্যি কমছে কি, সন্দিহান বহু চিকিৎসকই

করোনা প্রতিহত করতে টিকাকরণ বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে যাঁরা সুপার স্প্রেডার গ্রুপে রয়েছেন, তাঁদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২১ ০৬:১০
Share:

প্রতীকী ছবি

আপাতদৃষ্টিতে বঙ্গে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। শুক্রবার রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২,১৯৩ জন। যা বৃহস্পতিবারের (১৩,০৪৬ জন) থেকেও কিছুটা কম। কিন্তু সংক্রমণ সত্যি সত্যিই কমছে কি না, চিকিৎসকদের একাংশ সেই বিষয়ে সংশয়ে আছেন। তাঁদের বক্তব্য, দুর্যোগ-সহ নানা কারণে রাজ্যে দৈনিক করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কমেছে। তাই এখনই ঠিকঠাক বোঝা যাচ্ছে না, দৈনিক সংক্রমণের হার কমছে কি না। এ দিন মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের।

Advertisement

বৃহস্পতিবারের (৫৭,১৬৫) তুলনায় এ দিন অবশ্য রাজ্যে করোনা পরীক্ষা (৫৯,১৮৮) কিছু বেশিই হয়েছে। তবে চিকিৎসক ও সংক্রমণ বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, "দ্বিতীয় ঢেউয়ের দৈনিক সংক্রমণ সত্যি কমছে কি না, তা নিশ্চিত ভাবে বলতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। সব কিছু ভাল করে পর্যবেক্ষণের পরেই তা বলা সম্ভব।" এ দিন উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫২৫ জন, কলকাতায় ১৮৫৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০ থেকে ৯০০-র ঘরে রয়েছে দু’টি জেলায়। হাওড়ায় ৭৫৩ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯৫৭ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৬০০-র ঘরে রয়েছে ছ’টি জেলায়। হুগলিতে ৫৮৩, পশ্চিম বর্ধমানে ৫৮০, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬৫৯, নদিয়ায় ৫৩১, জলপাইগুড়িতে ৬২৩, দার্জিলিঙে ৬৩০ জন আক্রান্ত।

করোনা প্রতিহত করতে টিকাকরণ বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে যাঁরা সুপার স্প্রেডার গ্রুপে রয়েছেন, তাঁদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। স্কুলশিক্ষক, হকারদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার লোকজনকে নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় টিকা শিবির করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ-পর্যন্ত রাজ্যে টিকা পেয়েছেন এক কোটি ৩৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮২১ জন। এ দিনও কেন্দ্রের তরফে ৫০ হাজার ডোজ় কোভ্যাক্সিন এবং দু’লক্ষ ডোজ় কোভিশিল্ড বঙ্গে এসেছে।

Advertisement

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন নৈহাটির বাসিন্দা সত্যরঞ্জন দত্ত (৮২)। আজ, শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হবে। তিনি এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মাস দুয়েক আগে তিনি করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছিলেন। মরণোত্তর দেহ দান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন গণদর্পণের সম্পাদক

শ্যামল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দু’টি প্রতিষেধক নেওয়ার পরেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শরীরে কী ধরনের সমস্যা হয়েছিল, অটোপসিতে তা জানা যাবে।" তিনি জানান, করোনায় মৃত হিসেবে রাজ্যে এটি পঞ্চম অটোপসি। তবে প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার পরে মৃত হিসেবে এই প্রথম অটোপসি হতে চলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement