নিরুপম সেন স্মরণে আলোচনায় মানিক সরকার। বর্ধমানে। —নিজস্ব চিত্র।
বিরোধী জোটের জন্য ২৮ জনকে এক জায়গায় আনা যেমন একটা প্রক্রিয়া, সেটা ধরে রাখাটাও ততটাই জরুরি বলে মনে করিয়ে দিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নিরুপম সেনের স্মরণ-সভায় শুক্রবার বর্ধমান শহরে এসেছিলেন তিনি। ‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নিজের দলকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছেন মানিক। সমস্ত বুথ স্তর, আঞ্চলিক কমিটিগুলিকে সক্রিয় হতে বলেছেন।
সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে সরাসরি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। তাঁকে সমর্থনও করেন আপের নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়াল। মানিকের কটাক্ষ, কোনও এক জন নাম প্রস্তাব করবেন, আগে থেকে ঠিক করে রাখা দু’জন তাতে সমর্থন করবেন, এটা মানা যায় না। তিনি বলেন, ‘‘ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক চলাকালীন হঠাৎ করে কোনও এক জন নেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মুখটা আজকে ঠিক করে ফেলা দরকার বলে খড়্গের নাম প্রস্তাব করে দিলেন। কারণ, তিনি দলিত অংশের লোক এবং ভারতবর্ষের কোনও প্রধানমন্ত্রী দলিত সম্প্রদায় থেকে হননি। কিন্তু খড়্গে জানান, দলিত অংশের মানুষ হলেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সেই পরিচয় নিয়ে যান না তিনি। এটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।’’ যেখানে সবাই মিলে পরে প্রধানমন্ত্রী ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেখানে এটা জল ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা, দাবি তাঁর। তৃণমূলের রাজ্যের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের যদিও দাবি, ‘রাম-বামের আঁতাঁত’ রয়েছে বলেই এ কথা বলছেন উনি!
তবে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে তৃণমূলের সঙ্গে থাকলেও রাজ্যের পরিস্থিতি যে পৃথক, তা স্পষ্ট করে দেন মানিক। গত লোকসভা ভোটে পূর্ব বর্ধমানে সিপিএম ৯% ভোট পেয়েছিল, সেই কথা মনে করিয়ে বুথ কমিটি গঠনে আগে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেন। লোকাল কমিটি ও শাখা কমিটিগুলি উদ্যোগী না হলে, সম্পৃক্ত না হলে কোমরের জোর বাড়বে না বলেও মন্তব্য করেছেন।