অস্পষ্ট কথা, ধৃত পিন্টু

 বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় জনতানগরে শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বছর ২৫-এর সুরজিৎ সরকার ওরফে পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাবা, মা ও দাদাকেও আটক করে জেলা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৫
Share:

সামাল: এলাকায় বিক্ষোভ সামাল দিচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় জনতানগরে শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বছর ২৫-এর সুরজিৎ সরকার ওরফে পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাবা, মা ও দাদাকেও আটক করে জেলা চলছে।

Advertisement

পুলিশের দাবি, ২৫ জানুয়ারি রাতে ঘটনায় পিন্টুর বয়ানে একাধিত অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। কখনও রাতের ঘটনার সময় সে বাড়িতে নিচতলায় ছিল জানিয়েছে। একসময় বলেছে পাড়ায় জলসা দেখতে গিয়েছিল, পরে এসেছে। কখনও বলেছে ঘুমিয়ে থাকায় প্রথমে কিছুই জানতে পারেনি। তার পরিবারের লোকজনও পিন্টুর গতিবিধি সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। দেহটি উদ্ধারের সময় ঘর থেকে বেরিয়ে সে মৃতার বাবার সঙ্গে ছাদেও ওঠে। হঠাৎ করে তার সক্রিয়তা দেখে প্রতিবেশী থেকে ভাড়েটেদেরও সন্দেহ বেড়েছিল। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল বলেন, ‘‘কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পডায় সুরজিৎকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কেউ জড়িত কি না, দেখা হচ্ছে।’’

অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর বিক্ষোভের আশঙ্কায় সকালে ভক্তিনগর থানার পিছনের গেট দিয়ে বার করে এনজেপি থানায় নিয়ে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেডিক্যাল টেস্টের পর জলপাইগুড়ির জেলা আদালতে পেশ করা হয়। রবিবার, ছুটির হওয়ায় স্পেশাল আদালতে পিন্টুকে তোলা হয়। পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করে। সরকারি আইনজীবী সিন্ধুকুমার রায় জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের ধারার পাশাপাশি পকসো ধারাতেও মামলা রয়েছে৷ বিচারক তা বিশেষ আদালতে স্থানান্তরিত করেছেন। একদিনের জেল হেফাজত দিয়েছেন বিচারক। আজ, সোমবার মামলার বিশেষ আদালতে শুনানি হবে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, আদালতে ধৃত অভিযোগ কবুল করে মামলায় সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তেমনই, ঠিক কী ভাবে খুন তা জানার সঙ্গে সঙ্গে আর কে কে এই অপরাধে জড়িত তা জানতে চেয়ে হেফাজতের আবেদন করে। তদন্তকারীরা জানান, এদিন দুপুরের জনতানগরের ওই চারতলা বাড়ির আরেক ভাড়াটে পরিবারের বাবা ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই বাড়ির চার তলায় মালিক থাকেন। একটি বড় কুকুরও রয়েছে। সেখানে মালিক পরিবার ছাড়া কারও যাতায়াত ছিল না। তেমনিই, ছাদে গেটও রয়েছে। সাড়ে আট বছরের মেয়েটিকে রাত ২টা অবধি খোঁজার পর অভিযুক্তের মা সুমতি সরকারই সবাইকে ছাদে খোঁজার কথা বলেন। তার পরে শিশু কন্যাটির দেহটি উদ্ধার হয়। এতে পরিবারের আরও কেউ ষড়য়ন্ত্রে সামিল বলেই সন্দেহ বেড়েছে।

এদিন সকালে এলাকায় গিয়ে দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি তোলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। অভিযুক্তের মা সুমতিদেবী তৃণমূল মহিলা নেত্রী হওয়ায় বিকালে সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারের নেতৃত্বে ভক্তিনগর থানা ঘেরাও হয়। পরে জাতীয় সড়কে টায়ার পোড়ানো ছাড়াও সেবক রোডে অবরোধ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement