ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আট দিন আগে অপহরণ করা হয়েছিল গড়িয়াহাটের বাসিন্দা যুবককে। দাবি করা হয়েছিল মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ। এ বার সেই যুবককে উদ্ধার করল পুলিশ। সঙ্গে ধরা পড়লেন দুই অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রবীন্দ্র সরোবর থানায় স্বামীর অপহৃত হওয়ার অভিযোগ দায়ের করতে আসেন এক মহিলা। শুচিস্মিতা লাহিড়ি নামে ওই মহিলা জানান, গত ২২ জানুয়ারি অফিসের কাজে পুরী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তাঁর স্বামী কৌশিক লাহিড়ি। কিন্তু গত রবিবার তাঁর কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে পুরুষকণ্ঠ জানায়, তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। অবিলম্বে ১৪ লক্ষ টাকা না দিলে ছাড়া পাবেন না তিনি। ভয় পেয়ে স্বামীর অ্যাকাউন্টে অনলাইনে মুক্তিপণ বাবদ ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন শুচিস্মিতা! এর পরেও স্বামী না ফেরায় শেষমেশ বুধবার পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অপহৃত যুবকের খোঁজে শুরু হয় রবীন্দ্র সরোবর থানা এবং লালবাজারের যৌথ তল্লাশি অভিযান। শেষমেশ উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার এক বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় কৌশিককে। দক্ষিণ-পূর্ব শাখার ডেপুটি কমিশনার ভোলানাথ পাণ্ডে জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন মিঠুন বৈদ্য এবং ছারুর আহমেদ বৈদ্য ওরফে ‘চিরু’। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৪০(২) এবং ৩(৫) ধারার অধীনে মামলা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃতেরা দুই ভাই। দু’জনেই হাবড়ার রাউতাড়া থানার ধাপধারার বাসিন্দা। ধাপধারায় ‘চিরু’র বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ওই যুবককে। তবে কেন তাঁকে অপহরণ করা হল, ধৃতেরা ওই যুবককে আগে থেকে চিনতেন কি না, সে সব খতিয়ে দেখতে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।