ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে (আইএমএ) দলের দুই চিকিৎসক- নেতার ঝগড়া থামাতে এ বার কড়া ধমক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিছুদিন ধরেই আইএমএ-র ‘দখল’ নিয়ে বিধায়ক নির্মল মাজি ও কাউন্সিলর শান্তনু সেনের মধ্যে যে বিবাদ চলছে, তা মেটাতে চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। আইএমের সভাপতি পদে নির্মলের মনোনয়ন নিয়ে জটিলতায় আদালতের স্থগিতাদেশে নির্বাচন এখনও আটকেই রয়েছে।
অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে ছিলেন নির্মল-শান্তনু। বাড়ি থেকে বেরনোর মুখে উঠোনে তাঁদের দেখেই মমতা জানতে চান, কেন আইএমএ-র ভোটাভুটি নিয়ে এত গোলমালে জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা। নির্মল, শান্তনু একে অপরের নামে দোষারোপের চেষ্টা করতেই মেজাজ হারান মমতা। তৃণমূল সূত্রের খবর, তাঁর মনোনয়ন বাতিলের পাশাপাশি বাম-প্রার্থীদের দিয়ে আইএমএ-র বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্তনু প্যানেল করছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান নির্মল। শান্তনু ওই অভিযোগ নস্যাতের চেষ্টা করলে দু’জনকেই শোধরানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট বলেন, দ্রুত ঝগড়া না মেটালে তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।
আইএমএ-তে কেন কী হচ্ছে, সবই তাঁর জানা বলে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন শান্তনুদের। নির্মলের দুর্ব্যবহারের বিস্তর অভিযোগ তিনি পেয়েছেন বলেও জানান। ব্যবহার সংযত করার নির্দেশ দেন নির্মলকে। শান্তনুকে বলেন, দলকে বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা যেন আর না করেন। কোনও পক্ষের হয়ে দালালিও বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন শান্তনুকে। নির্মল বা শান্তনু কেউই মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি নিয়ে মন্তব্য করেননি। শান্তনু বলেন, ‘‘নেত্রী কী বলেছেন, তা আপনাদের বলব কেন?’’ নির্মলের বক্তব্য, ‘‘রোজই দিদি আমাদের কিছু না কিছু নির্দেশ দেন। আজ উনি কী বলেছেন, তা নিয়ে মন্তব্য করব না।’’