বৃত্তিতে আধার নিয়েও চড়া সুর

কেন্দ্র বিরোধিতার সুর চড়িয়ে এ বার ছাত্রদেরও সামিল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র-বৃত্তিতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি মমতা শুধু যে আধার কার্ড নিয়ে সমস্যার বিরুদ্ধে কেন্দ্র বিরাধিতা ফের গর্জে উঠেছেন, তা-ই নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৪২
Share:

কেন্দ্র বিরোধিতার সুর চড়িয়ে এ বার ছাত্রদেরও সামিল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

ছাত্র-বৃত্তিতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি মমতা শুধু যে আধার কার্ড নিয়ে সমস্যার বিরুদ্ধে কেন্দ্র বিরাধিতা ফের গর্জে উঠেছেন, তা-ই নয়। কোচবিহার সীমান্তে নারায়ণী সেনাকে বিএসএফের প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে রাজ্যের ঋণ মকুব না করা নিয়ে ফের উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রকে তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘‘পড়ুয়াদের বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ আটকানো বরদাস্ত করা যাবে না। তিন মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না হলে কলকাতা থেকে দিল্লির রাস্তাতেই আন্দোলন করব।’’ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ দেখাতে ছাত্রদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ কমানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘‘মোদী বলবেন, দেখো কত টাকা বাঁচালাম! সেই টাকায় নিজের কোট বানাবেন আর গিনেস বুকে নাম তুলবেন!’’ রাজপথে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যখন এমন সব হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, বিধানসভায় এ দিনই কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে হঠাৎ সিদ্ধান্ত হয়েছে এ বারের সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে কেন্দ্রের জিএসটি-র আদলে বিল বা প্রস্তাব আনা হবে না। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ‘‘আমরা একটু সময় নিচ্ছি। অন্য সব রাজ্যেই তো এখনও জিএসটি পাশ হয়নি।’’ বিরোধীরা মনে করছে, জিএসটি আপাতত স্থগিত রেখে মমতা এক দিকে যেমন দেখাতে চাইছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর তোপ আন্তরিক, তেমনই মোদী সরকারের সঙ্গে দর কষাকষির জায়গাও খোলা রাখতে চাইছেন।

বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেন, ‘‘এগুলো হতাশার বহিঃপ্রকাশ! প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তাঁর গর্বের কোনও জায়গা নেই। আগের পাঁচ বছরকেও দোষারোপ করতে পারছেন না! ফলে, সারাক্ষণ কেন্দ্রকে দুষছেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement