শারদ শুভেচ্ছা নেবেন মোদীজি, সন্দেশ মমতার

একেই বোধহয় বলে রাজনীতির মিঠে-কড়া সম্পর্ক! কখনও গলায়-গলায়। কখনও বৈরিতা। সকালে হয়তো কেন্দ্রের পণ্য পরিষেবা বিলের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৫৩
Share:

একেই বোধহয় বলে রাজনীতির মিঠে-কড়া সম্পর্ক!

Advertisement

কখনও গলায়-গলায়। কখনও বৈরিতা। সকালে হয়তো কেন্দ্রের পণ্য পরিষেবা বিলের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার দুপুরে তাঁরই নির্দেশে সংসদে রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদেরা। রাজনীতির এটাই দস্তুর। কিন্তু রাজনৈতিক বিরোধ যে ব্যক্তিগত নয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর শারদ-সৌজন্যে যেন সেই ‘মিঠে’ বার্তাই পেলেন নরেন্দ্র মোদী। মমতার নির্দেশে দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের বাঙালি মিষ্টির দোকান থেকে বাছাই করা সন্দেশ আজ পৌঁছেছে মোদীর বাসভবনে। মিষ্টি গিয়েছে উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির ঠিকানাতেও।

দিল্লির রাজনীতির অলিন্দে মমতার ‘আম-দৌত্য’ সুবিদিত। আম অবশ্য গ্রীষ্মের ব্যাপার। আপাতত মমতার সৌজন্যের আবহে দুর্গাপুজো। ঠিক হয়, বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হবে প্রধানত দু’ধরনের মিষ্টি দিয়ে— কড়া পাক ও নরম পাক। প্রথমে কলকাতা থেকেই মিষ্টি পাঠানোর পরিকল্পনা হয়। কিন্তু তা পাঠাতে যে সময় লাগবে তাতে মিষ্টি খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ঠিক হয়, দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের কোনও বাঙালি দোকান থেকে মিষ্টি কেনা হবে।

Advertisement

রাষ্ট্রপতি ভবনে যায়নি মমতার মিষ্টি? তৃণমূল নেতারা বলছেন, প্রণব মুখোপাধ্যায়কে বাদ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আসলে পুজোর সময়ে প্রণববাবু চলে আসেন বীরভূমে তাঁর গ্রামের বাড়িতে। সেখানেই মিষ্টি পাঠাবেন তৃণমূল নেত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement