তাঁর ৩০ বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের সাবেক বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় শনিবার এ কথা জানিয়েছেন। তবে বাড়িটির ভগ্নদশা এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও বারবার বলেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির টালির চাল খসে পড়ছে। নীচে কাঠের ফ্রেমে ঘুণ ধরেছে। দেওয়ালে উইয়ের বাসা। ছুঁচো-ইঁদুরের উপদ্রব। রাস্তার ধারে মমতার নিজের ছোট, একফালি ঘরের দেওয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। সংস্কারের অভাবে সব মিলিয়ে হাল খুবই খারাপ।
জরুরি ভিত্তিতে বাড়িটির মেরামতি না হলে যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে— এই আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রীকে এখানে রাখা নিরাপদ নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন নিরাপত্তা অফিসারেরা। মমতাকে জানানো হয়, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের এই বাড়ির সংস্কার চলাকালীন কয়েকটা দিন তাঁর অন্য কোথাও থাকা উচিত।
নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে বরাবরই উদাসীন মমতা। তবু নিরাপত্তা আধিকারিকেরা তাঁকে জোর করেই অনেকটা রাজি করাতে পেরেছিলেন। সেই মতো বাড়ি খোঁজাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু শনিবার দুপুরে কলকাতার মেয়র বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর নিজের বাড়িতে তিনি যেমন আছেন, তেমনই থাকবেন।’’
তা হলে বাড়ির সংস্কারের কী হবে? মেয়রের বক্তব্য, বাড়িটি অন্তত ৫০ বছরের পুরনো। কাঠ, বাঁশ সবেরই একটা আয়ুষ্কাল আছে, সেটা বুঝতে হবে। বাড়িটির যা অবস্থা তাতে সংস্কার খুবই প্রয়োজন। তবে মুখ্যমন্ত্রী ওই বাড়িতেই থাকবেন। তারই মধ্যে সময় সুযোগ করে কী ভাবে কী সংস্কার করা যায়, তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা ঠিক করা হবে।