একুশের প্রস্তুতি। সোমবার বিদ্যাসাগর সেতুতে রণজিৎ নন্দীর তোলা ছবি।
পেট্রাপোল স্থলসীমান্ত বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ ফেরালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের আয়োজক কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক।
আগামী ২১ জুলাই পেট্রাপোলে ওই অনুষ্ঠান হবে। নয়াদিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ঢাকা থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পে সামিল হওয়ার কথা। তবে সে দিন পেট্রাপোলে হাজির থাকার কথা দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে সুষমাকে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন।
কেন?
ঘনিষ্ঠ মহলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২১ জুলাই দলের শহিদ দিবসের সভা। ১৯৯৩ সালের পর থেকে প্রতি বছর ওই দিনই সভা হয়। এটা সকলেই জানেন। অথচ বিদেশ মন্ত্রক ওই দিনই পেট্রোপোলের অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিল! এই নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বিদেশমন্ত্রীকে তিনি চিঠি লিখেছেন বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘১৭ জুলাই লেখা আপনার চিঠি সোমবারই হাতে পেয়েছি। ২১ জুলাইয়ে আমার অনু্ষ্ঠান অনেক আগে থেকেই ঠিক হয়ে রয়েছে। সেখানে কয়েক লক্ষ লোক আসবেন। ফলে আমার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সম্ভব হবে না।’
ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা জানান, পেট্রাপোলে ওই অনুষ্ঠান ঠিক করার আগে এক বার তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে পারত বিদেশ মন্ত্রক। অনুষ্ঠান চূড়ান্ত করে তার পর তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো শিষ্টাচার বিরোধী। নবান্ন সূত্রের খবর, সুষমা স্বরাজ চিঠিতে লিখেছেন, রাজ্যের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এই বন্দর সম্প্রসারণ করা যেত না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘যদি রাজ্যের সহযোগিতা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হবে, তা হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের যোগদান নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের নজর দেওয়া দরকার ছিল।’’