মমতার হৃদয়ে আমি আর নেই: করিম

দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী। মঙ্গলবার ইসলামপুরের মেলা মাঠে নিজের গোল ঘরে বসে করিম চৌধুরী বলেন, ‘‘যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয়ে আমার কোনও জায়গা থাকল না সেখানে দলে থেকে কী করব?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০০
Share:

দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত আব্দুল করিম চৌধুরীর। — নিজস্ব চিত্র

দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী। মঙ্গলবার ইসলামপুরের মেলা মাঠে নিজের গোল ঘরে বসে করিম চৌধুরী বলেন, ‘‘যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয়ে আমার কোনও জায়গা থাকল না সেখানে দলে থেকে কী করব? তিনি তো দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়েই দিয়েছেন।’’ তবে কোন দলে যোগ দেবেন সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি। যদিও কংগ্রেসে ফেরার জন্য তলে তলে যোগাযোগ চলছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

১৯৬৭ সাল থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করিম চৌধুরী। ন’বারের বিধায়ক। উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের প্রথম বিধায়কও তিনি। কিন্তু এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে জোট প্রার্থী কানাইয়ালাল অগ্রবালের কাছে পরাজিত হন তিনি। তারপরেও অবশ্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই কানাইয়ালাল অগ্রবাল তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় নিজের অবস্থান অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে যায় করিম চৌধুরীর। কানাইয়ালালের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের পাশাপাশি চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়।

সম্প্রতি ইসলামপুর কলেজের নিবার্চনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এই তিনজনের অনুগামীরা। কলেজের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়। এর জেরেই কোপ পড়ে প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীর উপর। তড়িঘড়ি কলেজের পরিচালন সমিতি ভেঙে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। এমনকি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে।

Advertisement

করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ট মহলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি বলেন,‘‘আমার কথা না ভেবেই দু’টি পদ থেকেই বের করে দেওয়া হল। আমি অপমানিত হয়েছি। এখনই কোন দলে যোগ দেব তা ঠিক হয়নি। এলাকার মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছেন। তারা যেখানে যাওয়ার কথা বলবেন সেখানেই যাব। ইসলামপুরের পাহারাদার ছিলাম সেই হিসেবেই থাকব। এলাকার মানুষকে কেউ বিপদে ফেলতে চাইলে তার বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নামব সে যেই হোন না কেন।’’

তবে তাঁর দল ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের উত্তরদিনাজপুরের জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, ‘‘উনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা উনি জানাননি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছ থেকেই জানতে পেরেছি। উনি অনেক বড় মাপের নেতা। ওনার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত করা কিংবা মন্তব্য করা আমার ঠিক হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement