চিকিৎসক দিবসে এসএসকেএম হাসপাতালের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফণা তুলে দাঁড়িয়ে ছিল সাপ! তাই হাঁটার এলাকা হিসেবে তিনি ইলিয়ট পার্ককে বাদ দিয়েছেন বলে সোমবার, চিকিৎসক দিবসে এসএসকেএম হাসপাতালের অনুষ্ঠানে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাপের কামড়ের চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের পরিকল্পনার কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আগে ইলিয়ট পার্কে হাঁটতে যেতাম। এখন আর যাই না। বিশেষ করে গরম কালে বা বর্ষায়। কারণ, এক দিন গিয়ে দেখি, তিনটে সাপ ফণা তুলে দাঁড়িয়ে আছে! একটা সাপ তো সাঁতার কেটে উঠছে পুকুর থেকে!’’ এক সময় বাড়ি ঢোকার আগে মাঝেমধ্যে ইলিয়ট পার্কে হাঁটতেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যাডমিন্টন কোর্টও তৈরি হয়েছিল তাঁর জন্য। সেই পর্বে ছেদ পড়ার প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘প্রথমে পুলিশ বলল, ঢোড়া সাপ। আমি বললাম, মোটেই না। যেগুলো ফণা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে, সেগুলো বিষধর সাপ। দু’টো সাপ দেখছি তেড়েই যাচ্ছে! একটা দেখি, ফণা মারছে। কার্বলিক অ্যাসিড দিলেও কিস্যু হবে না। জিজ্ঞেস করলাম, এল কী ভাবে? বলে, ড্রেনেজ দিয়ে উঠছে। কলকাতায় এটা হলে গ্রামেগঞ্জে কী হতে পারে, ধারণা থাকা দরকার।’’
আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক সোমনাথ দাসকে এ দিন বিশেষ চিকিৎসা সম্মান দেওয়ার সময় সর্পদংশনের চিকিৎসার প্রসঙ্গ ওঠে। পরে বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, সাপের কামড়ের চিকিৎসা নিয়ে আরও গবেষণা দরকার। চাষিরা খালি পায়ে জমিতে কাজ করেন। মাঠে জলের মধ্যে বা ফসলের গোড়ায় সাপ লুকিয়ে থাকলে বোঝা যায় না। তাঁর কথায়, ‘‘সাপ শরীরের যে-কোনও জায়গায় কামড়াতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পায়েই কামড়ায়। এটা আমার পক্ষে ডেঞ্জারাস। আমি তো সারা ক্ষণ হাওয়াই চটি পরে ঘুরে বেড়াই!’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা সম্বন্ধে কতটা জানেন?
সাপের কামড় থেকে পা বাঁচাতে কী করা যায়, স্বাস্থ্যসচিব রাজীব সিংহের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সচিবের পরামর্শ, বিশেষ ধরনের জুতো দেওয়া হোক। মমতার কথায়, ‘‘জুতো পরে কৃষক চাষ করবেন না। আমাদের স্বভাব, ভাল জিনিস কিনলে জলে ভেজাই না। জুতো দিলে সেগুলো তুলে রাখবে। ভাববে, পরে পরব। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি। যদি মোজার মতো ‘নি-ক্যাপ’ টাইপের কিছু করা যায়।’’ এই বিষয়ে কারও কোনও ভাবনা থাকলে জানাতে বলেন মমতা।