লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে জেলাভিত্তিক বৈঠক শুরু করেছেন মমতা। ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দেশের সব রাজনৈতিক দল। সেই লক্ষ্যে বাংলার শাসকদলও নিজেদের মতো করে ভোটের রণনীতি সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। সেই পর্যায়েই শুক্রবার বিকেলে নিজের কালীঘাটের বাসভবন লাগোয়া অফিসে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গেই আগামী মঙ্গলবার তাঁর বাসভবনেই বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করবেন মমতা। বৈঠকের সেই সূচিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের।
বীরভূম তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই জেলার শাসকদলের সংগঠনের সভাপতি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু ২০২২ সালের ১১ অগস্ট অনুব্রতকে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পরেও দীর্ঘ সময় মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সভাপতি পদে রেখে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে একটি নয় সদস্যের কোর কমিটি গঠন করে দেন মমতা। সেই থেকে বীরভূম জেলা সংগঠনের দেখভাল করছে সেই কমিটি। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও জেলার কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে কমিটি গঠন করে সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই প্রথম অনুব্রতকে ছাড়া লোকসভা ভোটে লড়াই করবে তৃণমূল। আর বীরভূমের দু’টি আসনই ধরে রাখতে চান মমতা। তাই বীরভূম নেতৃত্বের কাছে এ বার লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠকও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে বীরভূমে সাংসদ পদে রয়েছেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। তিন ওই কেন্দ্র থেকে তিনবার জয়ী হয়েছেন। আর বোলপুর কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল। ওই দুই সাংসদ-সহ জেলার ১০ জন তৃণমূল বিধায়ককেও ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি আসনের মধ্যে দু’টিই তৃণমূলের দখলে, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ। আর বহরমপুর আসনে সাংসদ কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাই এই বৈঠকে বহরমপুর নিয়ে মমতা কী নির্দেশ দেন, সেদিকেই নজর সকলের। কারণ বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’য় রয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূল দু’পক্ষই। সেই জোটে থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেসের দখলে থাকা আসন নিয়ে তৃণমূলনেত্রী কী অবস্থান নেন, সেদিকেই নজর সকলের। যদিও, সম্প্রতি দেগঙ্গার জনসভা থেকে মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, গোটা দেশে ‘ইন্ডিয়া’ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করলেও, বাংলায় একাই তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে।