মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রামমন্দির উদ্বোধনকে ‘ভোটের আগে গিমিক’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার ওই দিনেই পাল্টা কর্মসূচির ডাক দিলেন তিনি। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘ওই দিন হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত সংহতি মিছিল হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সর্বধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে ওই কর্মসূচি করব।’’ যে কর্মসূচিকে মমতা ‘সংহতি মিছিল’ বলে উল্লেখ করেছেন।
হাজরা মোড় থেকে ২২ জানুয়ারি মিছিল শুরু করবেন মমতা। তার পর তা যাবে পার্ক সার্কাস ময়দানে। শুধু কলকাতা নয়, তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশ, ওই দিন সব জেলায়, সব ব্লকে সংহতি মিছিল করতে হবে। ইতিমধ্যেই সঙ্ঘ পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা বিভিন্ন সংগঠন রামমন্দির উদ্বোধনের কর্মসূচিতে নানা আয়োজন করেছে। তৃণমূলের বক্তব্য, গেরুয়া শিবির বিভাজনের উদ্দেশে রাস্তায় নামতে চেষ্টা করবে। তৃণমূল পাল্টা মিছিল করবে সংহতির বার্তা নিয়ে।
তবে মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এটা কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি নয়। তাঁর বক্তব্য, তিনি মনে করেন মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা সাধুসন্তদের কাজ। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সাধুসন্তদের সম্মান করি। তাঁরা কী বলছেন আমি শুনছি।’’ ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে পুরী ও উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্যেরা নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা শাস্ত্রমতে হচ্ছে না। অনেকের মতে, মমতা সেটাই বলতে চেয়েছেন।
মমতা জানিয়েছেন, ওই দিন হাজরা মোড় থেকে মিছিল শুরুর আগে কালীঘাট মন্দিরে যাবেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মা কালীকে ছুঁয়ে, মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, গির্জা ছুঁয়ে, সর্ব ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই মিছিল করব।’’ দলের পাশাপাশি বৃহত্তর নাগরিক সমাজকেও শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।